ইসলাম

রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২৩ | রমজানের সময় সূচি 2023

বন্ধুরা আজকে আমরা রমজানের সময় সূচি 2023 নিয়ে কথা বলবো সাথে এই রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২৩ ডাউনলোড করবেন সেটাও বলবো। আর ২০২৩ সালে পবিত্র রমজান মাসের সময়সূচি জানতে যারা আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করেছেন তাদেরকে আমরা প্রথম রমজান থেকে শুরু করে শেষ রমজান পর্যন্ত বিস্তারিত সময়সূচি জানিয়ে দেব।

তাছাড়া জেলাভিত্তিক যে সময়ের কমতি হয়ে থাকে অথবা বাড়তি সময় সংযুক্ত করা হয়ে থাকে সে বিষয়েও জানতে আপনারা আমাদের ওয়েবসাইটের পরবর্তী পোস্টগুলো দেখতে পারেন।

 

একজন মুসলিম হিসেবে আপনি যখন রমজান মাসের সময়সূচি দেখে নিতে পারবেন তখন মানসিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করার পাশাপাশি শারীরিকভাবে প্রস্তুতি গ্রহণ করতে পারবেন এবং রমজান মাসের প্রত্যেকটি দিন সুষ্ঠুভাবে পালন করতে পারবেন।

রমজান ইসলামের একটি পবিত্র মাস যা হিজরি ক্যালেন্ডারের নবম মাস। এই মাসে মুসলিমদের পরম উদ্দেশ্য হল আল্লাহর নির্দেশনা অনুযায়ী নির্যাতন করা থেকে নিজেকে রোজা রাখে এবং অবদান রাখে দরিদ্র মানুষের উপর।

 

এই মাসে মুসলিমদের রোজা রাখা হয়। রোজা রাখার মানে হল সকাল থেকে মধ্যরাত্রি পর্যন্ত কোনো খাবার, পানীয় বা আশ্রয় গ্রহণ না করা। রোজা রাখার বেশিরভাগ পরিবারের সদস্যরা মাঝে মাঝে একসঙ্গে ইফতার খাবার উপভোগ করে। এছাড়াও রমজানে মুসলিমদের জিহ্বা নিরীক্ষণ করে তাদের জীবনে বিভিন্ন পবিত্র কর্ম এবং দান করা হয়।

রমজান মাসের শেষে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে মুসলিমদের জম্মদিন পালন করা হয়। এই উৎসবে ভিন্ন ধরনের খাবার এবং তাকলিফ প্রদান করা হয়।

 

রমজানের ক্যালেন্ডার ২০২৩

যেহেতু রমজান মাস একটি নিয়ামত পূর্ণ মাস এবং ফজিলত পূর্ণ মাস যেহেতু এই মাসের সময়সূচি জেনে নিয়ে আমরা যদি প্রত্যেকটি ইবাদত সুষ্ঠুভাবে করতে পারি তাহলে দেখা যাবে যে মহান আল্লাহ পাকের দরবারে আমাদের অতি জীবনের যাবতীয় পাপ মুছে যাবে এবং রমজানের যে উপকারিতা তা আমরা উপভোগ করতে পারব।

রমজানের সময় সূচি 2023

মহান আল্লাহপাক একজন মুসলমানের জীবনের রমজান মাসকে একটি মহিমান্বিত মাস হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তাই যে মুসলিম এই রমজান মাস কে ছেড়ে দেবে সে বিশাল একটি লস করে ফেলল এবং নিজের ক্ষতি নিজেই করল।

একজন মুসলিম হিসেবে রমজান মাসে শুধু সিয়াম সাধনায় নয় বরং অন্যান্য যাবতীয় ইবাদত বন্দেগী আমাদেরকে করতে হবে। পবিত্র আল কুর‌আন এই মাসে নাযিল হয়েছে বলে এই মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে আমরা জানি এবং এই মাসে যে সিয়াম সাধনা করে তার মাধ্যমে আল্লাহ পাক আমাদেরকে জীবনের প্রতিটি শিক্ষা এই সাধনার মধ্য দিয়ে প্রদান করেন।

এই রমজান মাসের যাবতীয় সময়সূচি জেনে নেওয়াটাই আপনার জন্য ভালো হবে এবং আমরা আপনাদের জন্য তা জানিয়ে দেব।

 

আমরা জানি যে আরবি বছর অন্যান্য বছরের চাইতে দশ দিন কমে সংঘটিত হয়ে থাকে।

তাই প্রত্যেক বছর রমজান মাসের এই তারিখ এগিয়ে আসছে এবং সেই অনুযায়ী আমরা ক্যালেন্ডার অনুসরণ করে এবং চাঁদ দেখার উপর নির্ভর করে রমজান মাস পালন করে থাকি। রমজান মাস পালন করার জন্য আমাদের যে শারীরিক সামর্থ্য প্রয়োজন তা যদি আমরা আগে থেকে নিজেদেরকে প্রস্তুত করে রাখতে পারি তাহলে রমজান মাস খুব সুন্দরভাবে পালন করা সম্ভব হবে।

তাছাড়া রমজান মাস পালন করার জন্য আমাদের মনের ভিতর পুরোপুরিভাবে নিয়ত রাখতে হবে যাতে করে এই মাস মহান আল্লাহ পাকের নির্দেশে এবং রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের সুন্নাহর আলোকে পালন করতে পারি।

যে ব্যক্তি রমজান মাসের প্রকৃত স্বাদ অনুভব করতে পারবে তার কাছে রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা মাস হিসেবে পালিত হয়ে থাকবেন।

যেহেতু রমজান মাসে আমরা সিয়াম সাধনা করে থাকি সেহেতু এই সিয়াম সাধনা করার জন্য ফজরের আগে উঠে সেহরি খাওয়া এবং ইফতারের সময়সূচি জেনে নিয়ে সেই অনুযায়ী ইফতারী সম্পন্ন করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।

সেই সাথে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ এবং তারাবির নামাজ আদায় থেকে শুরু করে অন্যান্য যে সকল ইবাদত রয়েছে তার জন্য যদি আমরা প্রত্যেকটি সময়সীমা সম্পর্কে অবগত থাকতে পারে তাহলে এটা আমাদের প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে সাহায্য করবে।

 

রমজানের সময়সূচী ২০২৩ পিকচার ছবি ফটো ক্যালেন্ডার

তাই আপনি যখন রমজান মাস পালন করার চেষ্টা করবেন অথবা রমজান মাস পালন করার মধ্য দিয়ে নিজের ভেতরের যাবতীয় বদ অভ্যাস নিশ্বাস করার চেষ্টা করবেন তাদেরকে বলব যে এই মাস তাহলে আপনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাস হিসেবে কাজ করবে।

অতীতের যাবতীয় বদ অভ্যাসগুলো বাদ দেওয়ার জন্য রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং নেশা জাতীয় দ্রব্য ছাড়ানোর জন্য এই মাস অত্যন্ত ভালো ভূমিকা পালন করে বলে আমরা এই মাসের উপকারিতা নিজেদের জীবনে কাজে লাগাতে পারি।

তাছাড়া যারা ফজরের আগে উঠে নামাজ আদায় করতে পারেন না এবং এই নামাজ আদায় করতে যাদের অনেক সময় সমস্যা হয় বা অলসতার কারণে আদায় করতে পারেন না তাদের জন্য রমজান মাসে এক ধরনের অভ্যাস চালুর বিষয়গুলো ঘটে থাকে।

 

কারণ আমরা বৈজ্ঞানিকভাবে প্রমাণিত যে কোন অভ্যাস যদি আমরা একুশ দিন কন্টিনিউ করতে থাকে তাহলে সেটা আমাদের অভ্যাসে পরিণত হয়ে যায় এবং সেই কাজ করতে আমাদের খুব একটা কষ্ট হয় না।

তাই আপনি যখন রমজান মাসে সুবহে সাদিকের আগে উঠে সেহরি খাবেন এবং ফজরের নামাজ আদায় করবেন তখন সেটা আপনার অভ্যাসে পরিণত হয়ে যাবে এবং ফজরে ওঠার উপকারিতা সম্পর্কেও আপনারা অনেক কিছু বুঝতে পারবেন।

তাছাড়া সারাদিন কর্মব্যস্ততা থাকার পাশাপাশি নির্দিষ্ট সময়ে ইফতারিতে অংশগ্রহণ করা এবং এক্ষেত্রে যদি সম্ভব হয় তাহলে পরিবারের সঙ্গে নির্দিষ্ট সময়ের ভেতরে ইফতারের অংশগ্রহণ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিষয়।

 

বাংলাদেশ ইসলামিক ফাউন্ডেশন এই সময়সীমা প্রতিবছর প্রকাশ করে থাকে এবং সূর্যাস্ত এবং সূর্যোদয়ের উপরে নির্ভর করে সময়সীমা প্রস্তুত করে থাকে বলে আমরা এই অনুযায়ী সময় পালন করে থাকি। তবে বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলায় বিভিন্ন কারণ এ অথবা সূর্য উদয় এবং সূর্যাস্তের উপর নির্ভর করে এই সময়সীমার ক্ষেত্রে কিছুটা পরিবর্তন হয়ে থাকে।

এক্ষেত্রেও জেলাভিত্তিক চেয়ে ইসলামিক ফাউন্ডেশন রয়েছে তারা এ বিষয়গুলোর উপর নির্ভর করে আলাদা আলাদা ভাবে কোন জেলার সঙ্গে কত মিনিট সংযুক্ত হবে অথবা কোন জেলার সঙ্গে কত মিনিট বিয়োগ করতে হবে তার হিসাব করে আমরা রমজান মাসে সেহরি এবং ইফতারের সময় গুলো খুব সুন্দর ভাবে পালন করে থাকি।

 

তাই একজন মুসলমান মানুষ হিসেবে আপনি যখন রমজান মাসের যাবতীয় ইবাদত করতে চাইবেন তখন আপনার জেলার সময়সীমা আপনাকে জানতে হবে এবং এই সময়সীমা জেনে নিয়ে আপনাকে প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে সক্রিয় ভূমিকা পালন করতে হবে।

কারণ রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা মাস এবং এই মাসে ইবাদত বন্দেগি করার মাধ্যমে আপনারা মহান আল্লাহ পাকের কাছে জীবনের যাবতীয় পাপের ক্ষমা চাইতে পারবেন। তাছাড়া এই মাসে রয়েছে একটি মহিমান্বিত রাত যা লাইলাতুল কদর নামে পরিচিত।

এই রাত হাজার রাত অপেক্ষা উত্তম হওয়ার কারণে আমরা যদি নিয়মিতভাবে কয়েকটা দিন ইবাদত করতে পারি তাহলে এই রাতের ইবাদতের মাধ্যমে আমাদের জীবন স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারে এবং আমরা আল্লাহ পাকের কাছ থেকে বিভিন্ন কিছু দোয়া করার মাধ্যমে চেয়ে নিতে পারি।

 

তাই আপনাদের জন্য আজকে আমাদের ওয়েবসাইটের রমজান মাসের রহমতের দশ দিন, মাগফিরাতের ১০ দিন এবং নাজাতের ১০ দিনের সময়সূচী বিস্তারিতভাবে উল্লেখ করে দেওয়া হলো। এতে করে আপনারা ঢাকা জেলার যে সময়সূচী প্রদান করা হয়ে থাকে সেই সময়সূচী অনুযায়ী সেহরি এবং ইফতার নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সম্পন্ন করতে পারবেন।

তাছাড়া তারাবির নামাজ থেকে শুরু করে অন্যান্য যে সকল ইবাদত রয়েছে সেগুলো কোন সময়ের ভেতরে করতে হবে অথবা কোন কোন নিয়ম অনুসরণ করতে হবে তা আপনারা বুঝতে পারবেন।

রমজান মাসের গুরুত্ব বোঝা নিয়ে আমরা যদি আমাদের বাস্তবিক জীবনে এগুলোর প্রতিফলন ঘটাতে পারি তাহলে জীবন হয়ে উঠবে সুন্দর এবং আমরা আল্লাহ পাকের একজন খাটি বান্দা হিসেবে পরিগণিত হব।

 

রমজান মাসের গুরুত্ব আমাদেরকে বুঝতে হবে এবং এগুলো যদি আমাদের পরিবারের সন্তানদেরকে শিক্ষা প্রদান করতে পারে তারাও হয়তো রমজান মাসের গুরুত্ব উপলব্ধি করতে পেরে সেই অনুযায়ী ইবাদত বন্দেগী করতে পারবেন।

রমজান মাসের শিক্ষা আমাদের জীবনে প্রতিফলিত করতে হবে এবং সেই শিক্ষা সকলের মাঝে ছড়িয়ে দিতে হবে যাতে প্রত্যেকের রমজান মাস কে গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করে প্রত্যেকটি কাজ সঠিক সময়ে সম্পন্ন করতে পারে।

মনে রাখতে হবে রমজান মাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা মাস এবং এই মাসের শিক্ষা আমাদের জীবনে গ্রহণ করার পাশাপাশি বছরের অন্যান্য সময় গুলো প্রতিফলন ও পালন করতে হবে।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button