Lifestyle

সুখী হতে চাইলে যে ৫টি কথা কারো সাথে শেয়ার করতে নেই

আপনার সাথে এরকম কতবার হয়েছে যে আপনি হয়তো সবে মাত্র দু’দিন হলো সকালে উঠে দৌড়াতে যেতে শুরু করেছে এবার হঠাৎ একদিন এক বন্ধুর সাথে কথায় কথায় বলে ফেলেন আমিতো এখন সকালে রোজ দৌড়াতে যাচ্ছি।

এবার ভাই আমি এক মাসের মধ্যে 5 কেজি ওজন কমিয়ে ছাড়বো। আপনার সেই বন্ধু শুনে বলল, আরে বাহ সেরা তো, আমিও আসলে মাঝে বেশ কয়েকবার চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু দুই তিন দিন যাওয়ার পর এত লেদ লেগে যায় ভাই আর কন্টিনিউ করতে পারি না।

আর তার ঠিক দু তিনদিন পর থেকে কোনো এক অজানা কারণে আপনিও আর সকালে উঠে দৌড়াতে যাওয়াটা কন্টিনিউ রাখতে পারেন না।

এমনটা কেন হয় জানেন। রিসার্চ বলছে, যখন আমরা আমাদের কোন ফিউচার গোলের ব্যাপারে অন্যদের সাথে আলোচনা করি তখন সেই মুহূর্ত থেকেই আমাদের মধ্যে একটা গর্বিত বা তৃপ্তিদায়ক অনুভূতি কাজ করতে শুরু করে দেয়। যেটা আসলে সেই গোলটাকে সম্পূর্ণ করার পর যে ধরনের অনুভূতি হওয়ার কথা তার সঙ্গে প্রায় একই রকম।

 

যার ফলে সেই ফিউচার গোলটাকে সম্পূর্ণ করার আগেই শুধুমাত্র সেটার ব্যাপারে অন্যদের সাথে আলোচনা করে যখন আমরা সেই তৃপ্তিদায়ক অনুভূতিটা পেয়ে যাই তখন আমাদের মধ্যে সেই গোলটাকে সম্পূর্ণ করার ক্ষিদাটা অনেকখানি কমে যায়।

ফলে বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই আমরা সেই ভুলটাকে ঠিক করার জন্য পরিশ্রম করাই বন্ধ করে দেই।

সাইকোলজিস্টরা এই ঘটনাটাকে বলেন, সোশ্যাল রিয়ালিটি। বুদ্ধিমানের কাজ এটাই একমাত্র খুব প্রয়োজন হলে তবেই সেটা সম্পূর্ণ করা গোলটাকে নিয়ে অন্যদের সাথে আলোচনা করা উচিত। আর তাছাড়া আপনি বড় বড় স্বপ্নের কথা বলে তারপর সেগুলোকে যদি কোনো কারণে পূরণ না করতে পারেন, তখন অসংখ্য এরকম মানুষ ঘাপটি মেরে অপেক্ষায় বসে থাকবে যারা সুযোগ পেলেই আপনার সেই ব্যর্থতাকে টোন কাটবে।

 

So Smart Idea No 1: Never Share Your Future Goals.

হয়তো আপনি আর আপনার এক বন্ধু প্রায়ই এদিক-ওদিক টুকটাক খেতে বেড়ান। এতদিন আপনার সেই বন্ধু জানত যে আপনারা তার ইনকাম মোটামুটি এক।

তাই যখন যেখানে যাবেন সেটা আপনারা দুজনেই সমানভাবে ভাগ যোগ করে পে করতেন। এবার আপনি যে রিসেন্টলি চাকরিতে প্রমোশন পেয়েছেন সেটা আপনার বন্ধু জানা ছিল না। কিন্তু যেদিন সে এই কেসটা জানতে পারল যে এখন আপনার ইনকাম প্রায় দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে সেদিন থেকে যখনই কোথাও বিল পে করতে হবে হয়তো আপনার সেই বন্ধু আপনাকে বলবেন ভাই তোর তো এখন এতো ইনকাম বোলটা একটু তুই পে করে দিস।

 

কোনদিন হয়তো এসব বড় অংকের একটা টাকা ধার চেয়ে বসল। আপনি জানেন যে এত টাকা ধার দিলে টাকা রিটার্ন পেতে আপনার বছর ঘুরে যাবে। কিন্তু আপনি নাও বলতে পারবেন না, বাহানা দিয়ে যে কাটিয়ে যাবেন সেটা পারবেন না।ব্যাস ফেঁসে গেলেন।

বা এর উল্টোটা হলেও সমস্যা। হয়তো আপনার চাকরি চলে গেল, আপনি নতুন কোনো একটা চাকরিতে জয়েন করলেন সেখানে আপনার স্যালারি আগের হয়তো অর্ধেক। এবার সেটা জানতে পারার পর যদি আপনি হঠাৎ করে কোনদিন ওর কাছে এসে বড় অঙ্কের টাকা ধার চেয়ে বসেন সেই ভয়ে আপনার সেই বন্ধু হয়ত আপনাকে ইগনোর করতে শুরু করে দিতে পারে। টাকা কম থাকলেও বিপদ আবার বেশি থাকলেও অন্য রকমের বিপদ। তাই আপনার কাছে কত টাকা আছে বা আপনার এখন মান্থলি ইনকাম কত সেটা ঢাকঢোল পিটিয়ে সবাইকে জানানোর কোন দরকার নেই, কারণ এতে আপনার সমস্যা আরো বাড়বে ছাড়া কমবে না।

 

So Smart Idea No 2: Never Share Your Financial Situation With Anyone.

যদি আপনি কাউকে অন্ধের মত বিশ্বাস করতে পারেন তবেই একমাত্র তার সাথে শেয়ার করা উচিত। যেমন ধরুন আপনার মা-বাবা। কিন্তু দুদিনের আলাপেই অনেক সময় আমরা কাউকে প্রিয় বন্ধু বানিয়ে নিয়ে তার সাথে নিজের সমস্ত উইকনেস এবং সিক্রেট গুলো শেয়ার করতে বসে যাই।

এই প্রিয় বন্ধু যে কখনো প্রিয় শত্রুতে পরিণত হয়ে যাবেন তা আপনি টেরও পাবেন না। অন্যদিকে যদি কেউ আপনাকে বিশ্বাস করে তার কোন সিক্রেট কথা শেয়ার করে তাহলে সেগুলো অন্যদের সাথে শেয়ার করা কখনই উচিত না।

এতে আস্তে আস্তে কেউ আপনাকে বিশ্বাস করে কিছু বলতে চাইবে না। কারণ আস্তে আস্তে সবাই জেনে যাবে আপনার পেট পাতলা রোগ আছে। আপনি কোন কথা নিজের মধ্যে চেপে রাখতে পারেন না।

 

 

So Smart Idea No 3: Never Share Weaknesses and Secrets With Anyone.

আর সেই কথাটা আপনি আপনার মা-বাবা, ভাই-বোন, বন্ধু-বান্ধব সবার সাথে শেয়ার করে বসলেন। এবার পরে যখন আপনার ওয়াইফের মাথা একটু ঠান্ডা হলো তখন আপনি জানতে পারলেন যে আসলে সেদিন তার অফিসে প্রচুর কাজের চাপ চলছিল তাই সেদিন সে একটু ডিপ্রেস ছিল।

সেই কারণে সে ওই কথাগুলো রাগের মাথায় বলে ফেলেছিল। এবার সেটা জানার পর আপনার এবং আপনার ওয়াইফ এর মধ্যে ঝামেলা মিটে গেলো। কিন্তু আপনার পরিবার এবং বন্ধুবান্ধবরা আপনার ওয়াইফ কে খারাপ ভাবতে শুরু করে দিল। ফলে নতুন নতুন সমস্যা দেখা দিতে শুরু হয়ে গেল। তাই কারো সাথে কোন ঝগড়া হলে সেটা নিয়ে কখনোই অন্যদের সাথে আলোচনা করা উচিত নয় এতে বিভিন্ন সম্পর্কের জটিলতা তৈরি হয়।

 

So Smart Idea No 4: Never Share Any Personal Conflict.

ইভেন কেউ যদি কোন ভুল কাজ করে তারপরও যদি আপনি তাকে এরকম কোন নেগেটিভ জাজমেন্ট পাস করেন তাহলেও সে সেটাকে হয়তো ভালোভাবে নেবে না।

আর ব্যাপারটা হচ্ছে যদি কেউ সত্যি ভাট বকে তাহলে তাকে এটা বলাতে তুমি না খুব বাজে বকিস। আপনার বলাতে সে বাজে বকা বন্ধ করে দেবে না, উল্টো বাজে বকাটা বাড়িয়ে দেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারো ব্যাপারে কখনোই কোনো রকম নেগেটিভ জাজমেন্ট পাস করে কোন লাভ হয় না। এতে শুধু শত্রূ সংখ্যায় বাড়ে।

 

So Smart Idea No 5: Never Give Any Negative Judgment.

আশা করি, আমরা সঠিকাভাবে বুঝাইতে পেরেছি। যদি আমাদের লেখা আপনার ভাল লাগে তাহলে আমাদের এই লেখাটি আপনাদের পরিচিত মানুষের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না। ধন্যবাদ।

 

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button