Health

দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

আজকে আমরা কথা বলবো দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে। হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে অনেক ভালো আছেন, আজকের এই পোস্টে আমরা দাদ রোগের চিকিৎসা সম্পর্কে সকল বিষয়বস্তু আলোচনা করার চেষ্টা করব এই রোগটি সাধারনত মোট জনসংখ্যা প্রায় ২৫-৩০ শতাংশ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এতে চিন্তিত হওয়ার তেমন কিছু নেই কেননা এটি সাধারণ চর্ম রোগের মতোই একটি রোগ।

এই দাদ রোগ হলে সবসময় সঠিক চিকিৎসা গ্রহণ করতে হবে। কেননা এই রোগের চিকিৎসার কোনো ব্যতিক্রম ঘটলে পুরো পরিস্থিতি ভিন্ন হতে পারে তাই এই রোগটি ছড়িয়ে পড়ার আগে অবশ্যই আপনি যথা যত বিষয়বস্তু গুলো মেনে চলবেন।

তা না হলে পুরো শরীরে ছড়িয়ে যেতে পারে। তো এই বিষয়ে অবশ্যই সতর্ক থাকবেন। আর আজকে আমরা কথা বলবো এই দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা নিয়ে তো চলুন শুরু করা যাক।

 

দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা

প্রথমে আমরা জানবো এটা রোগ কেন হয় সাধারণত অপরিষ্কার পরিবেশে বসবাস করলে অথবা ব্যক্তিগত ভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন না থাকলে সাধারণত এই রোগটি হয়ে থাকে আর এই রোগটি সংক্রামক রোগ এটি খুব দ্রুত একে অপরের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে সাধারণত এই রোগটি ঘন বসতি এলাকায় দেখা যায় কেননা এসব জায়গায় সংক্রামিত বেশি হয়ে থাকে।

 

এই দাদ রোগ শুধু চেয়ে মানুষের হয়ে থাকে তা কিন্তু নয়, এই রোগটি কুকুর বিড়াল শহর ভিন্ন ধরনের গৃহপালিত ওষুধ পশু আক্রান্ত হয়ে থাকে তবে এই রোগটি সাধারণত একদম শিশু আবার কিশোর আবার একদম বৃদ্ধদের মাঝে এই রোগটি দেখা যায়।

 

প্রাথমিক অবস্থায় এই দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা বেশ কার্যকরী হতে পারে যদি আপনি সকল তথ্য সঠিক ভাবে মেনে চলেন। তবে ঘরোয়া চিকিৎসা না বুঝে যেকোনো জিনিস অথবা যেকোনো উপকরণ ব্যবহার করা উচিত নয় কেননা এটি খুবই মারাত্মক হতে পারে।

দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসার উপকরণ সমূহ নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো-

 

নিম পাতা

এই দাদ রোগ সারাতে সবচেয়ে কার্যকরী উপাদান হচ্ছে নিমপাতা সকল ধরনের এলার্জি অথবা চর্মরোগ সারাতে এই নিমপাতা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে সর্বপ্রথম এই নিমপাতার ব্যবহার করবেন আক্রান্ত স্থানে এই নিমপাতার ব্যবহার আশা করি আপনারা আশানুরূপ ফল পাবেন।

 

কাঁচা হলুদ বাটা

কাঁচা হলুদ বাটা জীবাণু-প্রতিরোধী বিভিন্ন ধরনের সংক্রামক রোগ এর জীবানু প্রতিরোধের এই কাঁচা হলুদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। প্রথমে আপনারা নিমপাতার ব্যবহার করবেন যদি আশানুরূপ ফল না পান তাহলে অবশ্যই এই কাঁচা হলুদ বাটা ব্যবহার করবেন।

প্রথমে কাঁচা হলুদ সংগ্রহ করবেন তারপর পরিষ্কার করে এই হলুদ গুলো বেছে নিবেন তারপর হলুদ গুলো বেটে নিবেন এরপর আক্রান্ত স্থানে এগুলো ব্যবহার করবেন।

 

এলোভ্যারা

এরপর ব্যবহার করতে পারেন অ্যালোভেরা কেননা অ্যালোভেরার দোয়াব সুস্থ রাখে এবং জীবাণু বিনাশ করতে সাহায্য করে থাকে আর এই অ্যালোভেরা দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা হিসেবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হতে পারে উপরের দুটি কাজ না হলে অবশ্যই আপনারা এই এলোভেরা ব্যবহার করতে পারেন এতে আশানুরূপ ফল আশা করা যায়।

 

নারকেল তেল

আবার নারকেলের তেল ব্যবহার করতে ভুলবেন না কেননা আপনি যে জায়গায় দাদ রোগে আক্রান্ত হবে সেই জায়গার ত্বক একটু ক্ষতিগ্রস্ত হয় আর এই ক্ষতিগ্রস্ত সারিয়ে তুলতে নারকেল তেল সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে অবশ্যই যখন সেরে যাবে তখন এই নারিকেল তেল ব্যবহার করবেন ক্ষতস্থান সারিয়ে তুলতে খুবই কার্যকরী।

আবার নারকেল তেল সংক্রামক রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে থাকে। যেহেতু এই দাদ রোগ একটি সংক্রামক রোগ এইটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। তাই এক্ষেত্রে এই নারকেল তেল অনেক উপকার করতে পারে।

 

ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আজকে আমরা যে বিষয় নিয়ে কথা বলেছি দাদ রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা এই বিষয় সর্ম্পকে। আশা করি আপনারা সকল বিষয় এখন অবগত এই বিষয়ে। আরো কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করবেন তাহলে আমরা আপনার সমস্যাটি জানতে পারবো এবং আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব।

 

আজকের এই বিষয়বস্তু ছাড়া আপনার যদি আর কোন কিছু অথবা অন্য বিষয় সম্পর্কে কোন কিছু জানার থাকে তাহলে অবশ্যই আমাদের জানাবেন আমরা সেই বিষয়ে লেখার চেষ্টা করব।

কেননা আপনারা যে বিষয়ে পোস্ট চান আমরা অই বিষয়েই লেখার চেষ্টা করি। আর আশা করি আমাদের দেয়া সকল পোস্ট আপনাদের অনেক ভালো লাগে। আর অবশ্যই পোস্ট গুলো আপনাদের বন্ধুদের সাথে শেয়ার করতে ভুলবেন না।

 

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button