শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ৫ টি ব্যবহার

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ৫ টি ব্যবহার

হ্যালো বন্ধুরা আশা করি সকলে অনেক ভাল আছেন আজকে আমি আপনাদের সাথে শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ৫ টি ব্যবহার নিয়ে কথা বলবো অনেকেই জানতে চেয়েছেন এই বিষয় সর্ম্পকে আজকের আমরা এ বিষয়ে সকল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব তাছাড়া ইন্টারনেট বিষয়ক আরো সকল তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করব।

ইন্টারনেট ব্যবহারের যেমন সুবিধা রয়েছে যেমন অসংখ্য অসুবিধা রয়েছে কেননা বর্তমানে আমরা যখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে থাকি আমাদের মাঝে এমন অনেক মানুষ আছে যারা কিনা একদম আসক্ত হয়ে গেছে এই কম্পিউটার অথবা ইন্টারনেট ব্যবহারে কিন্তু আবার অনেকে আছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে সঠিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

 

আজকের এই পোস্টে আমরা শুধুমাত্র শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার কি কি কাজে লাগে শুধু এই বিষয়েই নয় বরং আমাদের বাস্তব জীবনে এবং দৈনন্দিন জীবনে ইন্টারনেট কি কি কাজে লাগে সেগুলো আমরা ব্যবহার করব এবং জানব কিভাবে কাজ করে এবং সঠিকভাবে কিভাবে কাজ করা যায় আমরা এর আসক্ত দূর করার জন্য কি কি পদক্ষেপ নিতে পারে সেগুলো এবং শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ৫ টি ব্যবহার দেখব।

ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমরা কীভাবে নিজেকে আরও উন্নত করতে পারবো এবং ইন্টারনেটের সঠিক ব্যাবহার বুঝে আমরা কাজ করার চেষ্টা করব। এজন্য আজকের এই পোষ্টটি অবশ্যই সম্পূর্ণ দেখতে হবে তা না হলে কিছুই বুঝতে পারবেন না।

 

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ৫ টি ব্যবহার

বর্তমান সময়ে ইন্টারনেট এমন একটা তথ্যভান্ডার যার কোন নির্দিষ্ট ক্ষেত্র নেই যেখানে ইচ্ছা সেখানে এই ইন্টারনেট ব্যবহার করা যায় অফিস-আদালত স্কুল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ যেকোনো জায়গায় চাইলে আমরা এই ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারি তবে এই ইন্টারনেট এর আরো দ্রুত প্রসার ঘটে করোনাকালীন সময়ে।

কেননা করোনাকালীন সময়ে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্লাস সিস্টেম চালু হয় এতে ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসার ঘটে শুধুমাত্র শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নয় বরং বিভিন্ন অফিস-আদালতে অনলাইন ভিত্তিক মিটিং চালু হয় যা কিনা শুধুমাত্র ইন্টারনেট ব্যবহার করে সকল কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়েছে।

বর্তমানে এখন আমরা যদি চাই স্কুল-কলেজ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না গিয়ে আমরা বাড়ি থেকেই পড়াশুনার কার্যক্রম চালানো যেতে পারে বর্তমানে বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পড়াশোনা কার্যক্রম চালানো সম্ভব হয়েছে তবে বাংলাদেশে এই লকডাউন এর সময় এই ইন্টারনেটের ব্যাপক প্রসার ঘটেছে বলতে গেলে ইন্টারনেটের গ্রাহক আগের তুলনায় দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ পর্যন্ত বেড়েছে শুধুমাত্র শিক্ষাক্ষেত্রে নয় বরং বিভিন্ন কাজের ইন্টারনেটের ব্যবহার বেড়েছে।

 

উন্নত মানের শিক্ষা কার্যক্রমে ইন্টারনেটের ব্যবহার

বর্তমানে এমন অনেক ওয়েবসাইট আছে যারা কিনা শুধুমাত্র টিউটোরিয়াল ভিত্তিক ওয়েবসাইট তৈরি করেছে শুধুমাত্র শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য এখানে শিক্ষার্থীরা তাদের নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী তথ্য জানতে পারে অথবা নির্দিষ্ট কোন টপিক সম্পর্কে জানার থাকলে নির্দিষ্ট কোন অধ্যায়ভিত্তিক কোন কিছু জানার থাকলে তারা সহজেই ওয়েবসাইট ব্যবহার করে একটিমাত্র তথ্য চাইলে জানতে পারে।

আবার চাইলে পুরো বইটা সম্পর্কে জানতে পারে কেননা এই ওয়েবসাইটগুলোতে ভিত্তিক বানানো হয়েছে বিভিন্ন শ্রেণীর বই গুলোর মাধ্যমে এই টিউটোরিয়াল গুলো বানানো হয়েছে এছাড়া বর্তমানে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতেছে ভিডিও টিউটোরিয়াল যেকোনো শিক্ষার্থীর ক্ষেত্রে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

শিক্ষা অর্জনের জন্য কেননা যেখানে আমরা অনেকগুলো স্টুডেন্টের মা মধ্যে কোন কিছু শিখতে চাই সেক্ষেত্রে আমাদের অনেক সমস্যা হয় অনেক ঝামেলায় পরতে হয় কিন্তু আমরা যদি সেই একই পড়া টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমে আমরা একা একা দেখতে পারি তাহলে সে বিষয়ে আমাদের জ্ঞান আরো বৃদ্ধি পাবে খুব দ্রুত কেননা সেই তথ্যটি আমি অনেক মনোযোগ সহকারে একা একা দেখে শিখতে পারতেছি

 

ইন্টারনেটে মাল্টিমিডিয়ার মাধ্যমে শিক্ষা ব্যবস্থা

বর্তমানে ইন্টারনেট শিক্ষা কে অনেক এগিয়ে নিয়ে গিয়েছ কেননা মাল্টিমিডিয়া মাধ্যমে পড়াশোনা যখন করা যায় তখন আর কোন কিছুর অভাব থাকে না যখন আমরা ইন্টারনেট ব্যবহার করে এই মাল্টিমিডিয়া ক্লাস করি তখন আমরা যেকোনো ধরনের ইন্টারেক্টিভ ভিডিও অডিও ভিজুয়াল টিউটরিয়াল সম্পর্কে আমরা জানতে পারি।

এই মাল্টিমিডিয়া ক্লাসের মাধ্যমে আমরা বিজ্ঞানের গবেষণার দৃশ্যসহ আরো অন্যান্য কার্যক্রম সঠিকভাবে জানতে পারি এবং দেখতে পারি খুব সহজে আমরা ক্লাসে বসেই বর্তমানে শিক্ষা প্রদানের জনপ্রিয় মাধ্যম মাল্টিমিডিয়া মাধ্যমে ক্লাস পর্যালোচনা করা তাই আমাদের প্রত্যেকটা ক্লাসে এই মাল্টিমিডিয়া ক্লাস এর ব্যবস্থা করা উচিত।

 

এক্ষেত্রে সকল শিক্ষার্থী তারা সঠিক তথ্য জানতে পারবেন এবং ইন্টারনেট চুয়াল ভিডিওর মাধ্যমে তারা সকল তথ্য এবং গবেষণা সঠিক পর্যালোচনা করতে পারবে আমরা যদি ইন্টারনেট ব্যবহার করে অনলাইন ক্লাস গুলো পরিচালন করি তাহলে আমরা যেকোনো ক্লাস ঘরে বসেই করতে পারব এক্ষেত্রে আমাদের আর স্কুল অথবা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে যাওয়ার তেমন কোনো দরকার পড়বে না কেননা আমরা সকল বিষয় বস্তু আমরা ইন্টারনেটের মাধ্যমে জানতে পারতেছি।

আর আমরা যদি এই ইন্টারনেট ব্যবহার করে আমাদের পড়াশোনা কার্যক্রম চালু করি তাহলে আমাদের অনেক সময় বেচে যাবে এবং নিজের ঘরে বসে অনলাইনে ক্লাসগুলো করতে পারব এবং অনলাইনে যেকোনো পরীক্ষার প্রদান করতে পারবো এতে আমাদের সময় এবং শ্রম দুটোই বেঁচে যাবে তাই আপনারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করে সময় নষ্ট না করে ইন্টারনেট ব্যবহার করে কিছু শেখার চেষ্টা করুন।

 

কেননা বর্তমানে এমন অনেক মানুষ আছে ইন্টারনেট ব্যবহার করে হাজার হাজার টাকা ইনকাম করতে চাই আবার অনেকে আছে শুধুমাত্র ফেসবুক ইউজ করে সময় নষ্ট করতেছে তাই এখন আমাদের উচিত ইন্টারনেট ব্যবহারের সঠিক তথ্য জানা এবং সঠিকভাবে কাজ করা।

ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য আপনি আজকের এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরেছেন ইন্টারনেট ব্যবহারের সুবিধা এবং অসুবিধা সমূহ এবং ইন্টারনেট ব্যবহারে কি কি উপকারিতা রয়েছে এবং শিক্ষাক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ব্যবহার কেমন দরকার।

শিক্ষা ক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ৫ টি ব্যবহার কেন জরুরি এ বিষয়ে সম্পর্কে আপনারা জানতে পেরেছেন এ বিষয়ে আপনাদের কোন প্রশ্ন থাকলে অথবা কোন কিছু জানার থাকলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টের কমেন্ট করবেন অথবা আপনার প্রশ্নটিই যদি একান্ত ভিত্তিক হয়ে থাকে তাহলে আপনি চাইলে আমাদের কন্টাক্ট পেজ ভিজিট করে সেখান থেকে আমাদের ইমেইল করতে পারেন তাহলে আমরা আপনার ইমেইলে আপনাকে সাহায্য করার চেষ্টা করব ধন্যবাদ সবাইকে এতক্ষন আমাদের সাথে থাকার জন্য।

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *