সুকান্ত ভট্টাচার্যের “আঠারো বছর বয়স” কবিতাটি ১৯৪৮ খ্রিষ্টাব্দে প্রকাশিত তার ‘ছাড়পত্র’ কাব্যগ্রন্থ থেকে সংকলিত হয়েছে। এ কবিতায় কবি নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে বয়সন্ধিকালের বৈশিষ্ট্যকে তুলে ধরেছেন। কৈশোর থেকে যৌবনে পদার্পণের এ বয়সটি উত্তেজনার, প্রবল আবেগ ও উচ্ছাসে জীবনের ঝুঁকি নেবার উপযোগী ।
এ বয়স অদম্য দুঃসাহসে সকল বাধা-বিপদকে পেরিয়ে যাওয়ার এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার জন্য প্রস্তুত । এদের পাশাপাশি সমাজ জীবনের নানা বিকার, অসুস্থতা ও সর্বনাশের অভিঘাতে হয়ে উঠতে পারে এরা ভয়ংকর। আঠারো বছর বয়স
কিন্ত এ বয়সের আছে সমস্ত দুর্যোগ আ র দুর্বিপাক মোকাবিলা করার অদম্য প্রাণশক্তি। ফলে তারুণ্য ও যৌবনশক্তি দুর্বার বেগে এগিয়ে যায় প্রগতির পথে । যৌবনের উদ্দীপনা, সাহসিকতা, দুর্বার গতি, নতুন জীবন রচনার স্বপ্ন এবং কল্যাণব্রত- এসব বৈশিষ্ট্যের জন্য কবি প্রত্যাশা করেছেন নানা সমস্যাপীড়িত দেশে তারুণ্য ও যৌবনশক্তি যেন জাতীয় জীবনের চালিকাশক্তি হয়ে দাঁড়ায়।
আঠারো বছর বয়স কবিতার সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর আঠারো বছর বয়স
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে পাক-হানাদার বাহিনী নির্বিচারে অগণিত বাঙালিকে হত্যা করে। দেশে এমন অরাজকতা দেখে তরুণ যুবক রফিক আর চুপ থাকতে পারে না। অপরিসীম সাহস নিয়ে সে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে দেশ ও দশের কল্যাণে সে নিজেকে উৎসর্গ করে।
ক. “ছাড়পত্র কাব্যপ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত হয়?
খ. কবি কেন যৌবনশক্তির জয়গান করেছেন?
গ. উদ্দীপকের রফিক “আঠারো বছর বয়স’ কবিতার কোন বৈশিষ্ট্যের প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “আত্মত্যাগ ও মানবকল্যাণ আঠারো বছর বয়সের একটি অন্যতম বৈশিষ্ট্য – উদ্দীপক ও ‘আঠারো বছর বয়স” কবিতার আলোকে উত্তিটির তাৎপর্য মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : মচমইল বাজারে প্রকাশ্যে তিনজন সন্ত্রাসী আক্রমণ করে তালেব মাস্টারকে। তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়লে মোটরসাইকেলযোগে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এমন সময় ঘটনাস্থলে এসে পড়ে সাহসী তরুণ ফিরোজ। সে সন্ত্রাসীদের ধাওয়া করে এবং একজনকে ধরে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানের হাতে তুলে দেয়। ফিরে এসে দেখে মাস্টার সাহেব তখনো মাটিতে লুটিয়ে পড়ে আছেন। পুলিশি ঝামেলার ভয়ে কেউ সাহায্যে এগিয়ে আসছে না। ফিরোজ কোনো কিছু না ভেবেই মাস্টার সাহেবকে নিয়ে যায় মেডিকেলে।
ক. কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কোন দৈনিক পত্রিকার সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন?
খ. ‘আঠারো বছর বয়স মাথা নোয়াবার নয়’_ কেন?
গ. উদ্দীপকের ফিরোজের মানসিকতার যে দিকটি “আঠারো বছর বয়স” কবিতার মধ্যে বিদ্যমান তা ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের মূলভাব “আঠারো বছর বয়স” কবিতার মূলভাবের দ্যোতক- আলোচনা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ :
ওরে নবীন ওরে আমার কাঁচা,
ওরে সবুজ, ওরে অবুঝ,
আধ-মরাদের ঘা মেরে তুই বাঁচা।
রক্ত আলোর মদে মাতাল ভোরে
আজকে যে যা বলে বলুক তোরে,
সকল তর্ক হেলায় তুচ্ছ করে
পুচ্ছটি তোর উচ্চে তুলে নাচা।
আয় দুরন্ত, আয় রে আমার কাঁচা।
ক. সুকান্ত ভট্টাচার্য মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত কোন পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন?
খ. এদেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে’ – ব্যাখ্যা করো।
গ. “উদ্দীপকে ‘আঠারো বছর বয়স” কবিতায় বর্ণিত বিষয়ের আংশিক প্রতিফলন ঘটেছে” – উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “আঠারো বছর বয়স’ কবিতা এবং উদ্দীপকে মূলত তারুণ্যেরই জয়গান গাওয়া হয়েছে – এ বিষয়ে তোমার যৌক্তিক মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : একটা জাতির সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে তার যুবশক্তি। তাই যুব সমাজকে উপযুস্ত শিক্ষা, নৈতিকতা ও দক্ষতা দিয়ে গড়ে তোলার প্রতি সবচেয়ে গুরুত্বারোপ করা হয়ে থাকে। মানুষের বয়স-পরিক্রমায় আঠারো বছর অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ । কৈশোরের অনুকরণ সর্বস্বতা ত্যাগ করে নিজস্ব ভাবনায় আঠারো বছরের তরুণেরা নতুনত্বকে বরণ করে। নানা ঘাত-প্রতিঘাতের সম্মুখীন হয়ে জীবনের সঠিক পথকে বেছে নেয়। তাই তরুণদের উচিৎ প্রগতিশীল চেতনার আলোকে নিজেদের জীবন গড়া।
ক. এ বয়স কী জানে?
খ. “তবু আঠারোর শুনেছি জয় ধ্বনি’ __কবি কেন শুনেছেন?
গ. উদ্দীপকের বিষয়বস্তুর সাথে ‘আঠারো বছর বয়স” কবিতার তারুণ্যের বৈশিষ্ট্যের সাদৃশ্য-বৈসাদৃশ্য আলোচনা করো।
ঘ. ‘তাই তরুণদের উচিৎ প্রগতিশীল চেতনার আলোকে নিজেদের জীবন গড়া।’ উক্তিটি উদ্দীপক ও “আঠারো বছর বয়স” কবিতার আলোকে মূল্যায়ন করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : আঠারো বছর বয়স
মোরা ঝঞ্ঝার মতো উদ্দাম
মোরা ঝরনার মতো চঞ্চল
মোরা বিধাতার মতো নির্ভয়
মোরা প্রকৃতির মতো উচ্ছল
মোরা আকাশের মতো বাধাহীন
মোরা মরু সঞ্চারী বেদুঈন।
ক. কবি সুকান্ত ভট্টাচার্য কোন পত্রিকার আজীবন সম্পাদক ছিলেন?
খ. এ দেশের বুকে আঠারো আসুক নেমে – চরণটি ব্যাখ্যা করো ।
গ. উদ্দীপকের সঙ্গে ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতার সাদৃশ্য আলোচনা করো।
ঘ. ‘আঠারো বছর বয়স’ কবিতায় এ বয়সের কিছু আশঙ্কার কথা থাকলেও উদ্দীপকে তা অনুপস্থিত – পর্যালোচনা করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : সেবার কলেরায় গ্রামের অধিকাংশ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে। সাহসী যুবক নয়ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ছুটে এসে মৃত্যু ভয়কে উপেক্ষা করে সমবয়সিদের নিয়ে গড়ে তুলল ‘সেবা’ নামে এক সংগঠন। একে একে মানুষ সুস্থ হতে শুরু করল। মহামারি আকার নেয়ার আগেই এলাকা কলেরামুক্ত হলো । সবাই নয়নকে বাহবা দিতে লাগল।
ক. সুকান্ত ভট্টাচার্য কত বছর জীবিত ছিলেন? আঠারো বছর বয়স
খ. “তাজা তাজা প্রাণে অসহ্য যন্ত্রণা’ – বুঝিয়ে লেখো ।
গ. উদ্দীপকের নয়ন চরিত্রের সাথে “আঠারো বছর বয়স’ কবিতার সাদৃশ্য তুলে ধরো।
ঘ. উদ্দীপকের নয়নের কর্মকাণ্ড “আঠারো বছর বয়স’ কবিতার মূলভাবকে বহন করে” – বিশ্লেষণ করো।
উপরে দেয়া ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করে উত্তরসহ সৃজনশীল প্রশ্নগুলো ডাউনলোড করে নাও। এইচএসসি শিক্ষার্থীরা অন্যান্য বিষয়ের নোট ও সাজেশান্স পেতে এখানে ক্লিক করো। নতুন সাজেশন পেতে জয়েন করো HSC Candidates, Bangladesh ফেসবুক গ্রুপে। আমরা আছি ইউটিউবেও। আমাদের ইউটিউব চ্যানেলটি সাবস্ক্রাইব করতে পারো এই লিংক থেকে। আঠারো বছর বয়স