(PDF) বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর : বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় উনিশ শতকীয় বাংলার অন্যতম শ্রেষ্ঠ লেখক হিসেবে পরিচিত। “বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন” রচনাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ‘প্রচার’ পত্রিকায়, ১৮৮৫ সালে; পরে এটি তার “বিবিধ প্রবন্ধ” নামক গ্রন্থের অন্তর্ভূক্ত হয়।
সাধু রীতিতে লেখা এই প্রবন্ধটি আকারে ছোট হলেও চিন্তার মৌলিকতে অসাধারণ । বক্তব্যের তাৎপর্য বিচার করলে প্রবন্ধটির রয়েছে সর্বকালীন বৈশ্বিক আবেদন । নতুন লেখকদের প্রতি তিনি যে পরামর্শ এখানে উপস্থাপন করেছেন তার প্রতিটি বক্তব্যই পালনযোগ্য। খ্যাতি বা অর্থের উদ্দেশ্যে লেখা নয়; লিখতে হবে মানুষের কল্যাণ সাধন কিংবা সৌন্দর্য সৃষ্টির অভিপ্রায়ে |
বঙ্কিমচন্দ্রের মতে, অসত্য, নীতি-নৈতিকতা বিরোধী কিংবা পরনিন্দার উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা স্বার্থতাড়িত লেখা পরিহার করা বাঞ্নীয়। তিনি বলতে চান, নতুন লেখকরা কিছু লিখে তাৎক্ষণিকভাবে না ছাপিয়ে কিছুদিন অপেক্ষা করে পুনরায় পাঠ করলে লেখাটি সমৃদ্ধ হয়ে উঠবে ।
যার যে বিষয়ে অধিকার নেই সে বিষয়ে লেখার চেষ্টা করা যেমন দূষণীয় বলেছেন। অনাবশ্যকভাবে লেখার সৌষ্ঠব বৃদ্ধি বা পরিহাস করার চেষ্টাও তার কাছে কাম্য নয়। সারল্যকেই তিনি সকল অলংকারের মধ্যে শ্রেষ্ঠ অলংকার বলে মনে করেছেন। সর্বোপরি বস্তুনিষ্ঠার ওপর গুরুতারোপ করেছেন৷
এভাবে এই ছোট লেখাটিতে তিনি লেখকের আদর্শ কী হওয়া উচিত তা অত্যাবশ্যকীয় শব্দ প্রয়োগে উপস্থাপন করেছেন । নবীন লেখকরা বঙ্কিমচন্দ্রের পরামর্শ মান্য করলে লেখক ও পাঠক সমাজ নিশ্চিতভাবে উপকৃত হবেন; আমাদের মননশীল ও সৃজনশীল জগৎ সমৃদ্ধ থেকে সমৃদ্ধতর হবে।
বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – (PDF) বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
(PDF) বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ১ : প্রথম বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী সময় বিশ্বব্যাপী মূল্যবোধের অবক্ষয়, অর্থনৈতিক বিপর্যয়, হতাশা ও হাহাকারে উপমহাদেশের জীবন ছিল নানা অভিঘাতে বিপর্যস্ত ও রূপান্তরিত। এমনই এক পরিবেশে কাজী নজরুল ইসলাম (১৮৯৯-১৯৭৬) তার ব্যক্তিজীবনের অভিজ্ঞতায় বিনির্মাণ করলেন শাশ্বত কল্যাণ ও সাম্যবাদের মহাকাব্যিক এক আশাবাদী জগৎ। তিনি কলম তুলে নিলেন শোষণ-বঞ্চনাহীন, শ্রেণিবৈষম্যহীন, ক্ষুধা-দারিদ্মুক্ত, অসাম্প্রদায়িক এক জগৎ সৃষ্টি করতে। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য তিনি সাম্যের গান গাইলেন। এক সময় তিনি হয়ে উঠলেন ধর্ম-বর্ণ-শ্রেণি-গোত্র নির্বিশেষে সকল সাধারণ মানুষের অধিকার আদায়ের কলমসৈনিক। শোষণ, বঞ্চনা ও সকল প্রকার বৈষম্যের বিরুদ্ধে তার বিদ্রোহ আজও আমাদেরকে অনুপ্রাণিত করে বারংবার ।
ক. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের মতে সাহিত্যের উদ্দেশ্য কী?
খ. অন্য উদ্দেশ্যে লেখনী-ধারণ মহাপাপ- বলতে লেখক কী বুঝিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকের কাজী নজরুল ইসলামের সাহিত্য সাধনা “বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন” প্রবন্ধের কোন বৈশিষ্ট্যটির প্রতিফলন ঘটায় ব্যাখ্যা কর।
ঘ. বাংলার নতুন লেখকদের প্রতি বঙ্কিমচন্দ্রের নিবেদন উদ্দীপকে যথেষ্ট ধরা হয়েছে কি?
উদ্দীপক ও প্রবন্ধের আলোকে তোমার মতামত দাও ।
(PDF) বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : কাজী মোতাহের হোসেনের মতে, “মানুষের প্রচেষ্টায় মানুষের জন্যই যে সাহিত্য রচিত হয় তাহা যদি মানবহিত এবং মানবসভ্যতার ক্রমোন্নতির দিক নির্দেশ না করে তবে বড়ই আক্ষেপের কথা।” সুতরাং বিষয়টি পরিষ্কার যে, মানুষ ভালো হবে, মানুষ ভালো করবে এটাই স্বাভাবিকতার দাবি। সুতরাং মানুষের সাহিত্য মানুষের কল্যাণ নিশ্চিত করবে এটাও স্বাভাবিক।
ক. বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় কত সালে জন্মগ্রহণ করেন?
খ. “লেখা ভালো হইলে যশ আপনি আসিবে।”— উক্তিটি ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধের কোন বিষয়টির প্রকাশ পেয়েছে?
ঘ. উদ্দীপকটি আলোচ্য প্রবন্ধের খণ্ডাংশমাত্র আলোচনা কর।
(PDF) বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : গল্পের জাদুকর হিসেবে পরিচিত হুমায়ুন আহমেদ বাংলা সাহিত্যের একজন কালজয়ী কথাসাহিত্যিক। আবেগ ও হাস্যরসের অসামান্য ব্যবহার তাঁর রচনাগুলোকে পাঠক সমাজে সমাদৃত করেছে৷ মধ্যবিত্ত জীবনের রূপকার গল্পকথার এ জাদুকরের অন্যতম দিক হলো সরলতা। সহজ ভাষায় জীবনের অন্তর্নিহিত দর্শনের এমন সাবলীল প্রকাশ সমগ্র বাংলা সাহিত্যেই বিরল। এই সহজবোধ্যতার কারণেই তিনি পৌছে গেছেন জনপ্রিয়তার শীর্ষে। তাঁর এই গুণের কারণেই হুমায়ুন আহমেদের লেখা পড়ে এদেশের বহু মানুষ বইমুখী হওয়ার প্রেরণা পেয়েছে।
ক. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক উপন্যাস ‘দুর্গেশ নন্দিনী” কত সালে প্রথম প্রকাশিত হয়?
খ. সুতরাং তাহা একেবারে পরিহার্য- ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন” রচনার যে বিষয়টি ফুটে উঠেছে তা তুলে ধর।
ঘ. উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার সামগ্রিক ভাব ফুটে উঠেছে কি? তোমার মতামতের পক্ষে যুক্তি দাও।
(PDF) বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : আমাদের ভাষাকে অনেকটা সহজবোধ্য করতে হবে। আমির হামজার দাস্তানের ভাষা আমাদের সাহিত্যে আর চলবে না। আমর আমাদের স্বাভাবিক ভাষার অনুকরণ করে সরলতার পথে অগ্রসর হব।… সাহিত্যে কাজ হচ্ছে ব্যক্তির, জাতির, বিশ্বমানবের সুখ দুঃখ, আশা-আকাঙ্ক্ষা, বেদনা-সমবেদনা প্রভৃতি অনুভূতিকে, মানুষের অন্তরের অন্তরতম সত্যকে, সুন্দর সরল মর্মস্পর্শী ভাষায় বর্ণনা করা।
ক. ‘রাজসিংহ’ বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের কোন ধরনের রচনা?
খ. ‘অর্থের উদ্দেশ্যে লিখিতে গেলে, লোক-রঞ্জন-প্রবৃত্তি প্রবল হইয়া পড়ে।’— ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধের কোন বিষয়টি প্রতিফলিত হয়েছে?
ঘ. ‘উদ্দীপকটি আলোচ্য প্রবন্ধের একটি মাত্র ভাবকে চিত্রায়িত করে’– মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : বাংলাভাষী অনেক মুসলমান কবি বৈষ্ণব পদ সাহিত্য সৃষ্টি করে গেছেন। তাঁদের কেউ করেছেন নেশার ঝোঁকে আর কেউ করেছেন পেশা হিসেবে।… পূর্ব পাকিস্তানের খ্যাতনামা কবিয়াল শ্রীরমেশচন্দ্র শীল মাইজ-ভাণ্ডারপন্থী মারফতী গান লিখে পুস্তিকায় প্রকাশ করেছেন…। তিনি বলেন… আমি ভাবলাম এরূপ গান লিখলে বেশ কাটতি হবে— আমার পয়সা হবে। … অতএব দেখা যাচ্ছে, অন্য স্বার্থবশে এসব শ্রেণির কবিতা সৃষ্টি হয়েছে। … এ জন্য সাধারণ মনেও তার ক্রিয়া উল্লেখযোগ্য হয়নি।
ক. যশের জন্য লিখলে কোনটি হবে না?
খ. সাহিত্যে কী একেবারে পরিহার্য? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের বিষয়টি ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধের কোন কোন বিষয় নির্দেশ করে?
ঘ. উদ্দীপকটি কি তোমার পঠিত প্রবন্ধের সম্পূর্ণ ভাব প্রকাশ করে? তোমার মতের পক্ষে যুক্তি দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : নব্বই দশকে অনেক প্রতিভাবান তরুণ কবির আবির্ভাব ঘটেছে। তবে তাঁদেরকে সঠিকভাবে চিহ্নিত ও মূল্যায়ন করার জন্য আরে৷ কিছু সময় অপেক্ষা করা প্রয়োজন বলে আমার ধারণা।
ক. সাহিত্যে কী কী একেবারে পরিহার্য?
খ. ‘যাহারা সাময়িক সাহিত্যে ব্রতী, তাঁহাদের পক্ষে এই নিয়ম রক্ষাটি ঘটিয়া উঠে না।’– উক্তিটি বিশ্লেষণ কর।
গ. উদ্দীপকের তরুণ কবিদের সঙ্গে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধের কাদের সাদৃশ্য রয়েছে?
ঘ. ‘উদ্দীপকটি আলোচ্য প্রবন্ধের খণ্ডাংশমাত্র’—মন্তব্যটি যাচাই কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : মানুষের দেহমনের সকল প্রকার ক্রিয়ার মধ্যে ক্রীড়া শ্রেষ্ঠ, কেননা, তা উদ্দেশ্যহীন। মানুষ যখন খেলা করে, তখন সে এক আনন্দ ব্যতীত অপর কোনো ফলের আকাঙ্ক্ষা রাখে না। যে খেলার ভিতর আনন্দ নেই, কিন্তু উপরি পাওনার আশা আছে, তার নাম খেলা নয়, জুয়াখেলা। ও ব্যাপার সাহিত্যে চলে না।
ক. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার লেখক কে?
খ. সত্য ও ধর্মই সাহিত্যের উদ্দেশ্য’- উক্তিটি বুঝিয়ে লেখো।
গ. ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় বর্ণিত সাহিত্য ও উদ্দীপকের উল্লিখিত ক্রীড়ার মধ্যে কোথায় পার্থক্য লক্ষ করা যায়? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘অমিল থাকলেও কোনো কোনো ক্ষেত্রে সাহিত্য ও ক্রীড়ার মাঝে তাৎপর্যপূর্ণ মিলও রয়েছে’— এ বিষয়ে তোমার মতামত তুলে ধরো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে বাজি ধরে ‘অতসীমামী’ নামে গল্প লেখেন। গল্পটি পত্রিকায় প্রকাশের পর এত আলোড়ন তৈরি করে যে, এরপর তিনি লেখালেখিতেই নিজেকে নিয়োজিত করে ফেলেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্নভাবে মনের আনন্দে লিখে গেছেন তিনি। ফলে তাঁর সাহিত্যিক খ্যাতি ছিল সর্বজনবিদিত।
ক. আমাদের দেশের সাধারণ পাঠকের কী বিবেচনায় লোকরঞ্জন করতে গেলে রচনা বিকৃত ও অনিষ্টকর হয়ে পড়ে?
খ. ‘টাকার জন্য লিখিবেন না’- বঙ্কিমচন্দ্র এ পরামর্শ কেন দিয়েছেন?
গ. উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার কোন দিকটি প্রকাশ পেয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘লেখা ভালো হইলে যশ আপনি আসিবে’ কথাটি উদ্দীপকের মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে কতটুকু সঠিক? তোমার মতামত দাও।
বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : খেতের পরে যেত চলেছে, খেতের নাহি শেষ
সবুজ গাওয়ায় দুলছে ও কার এলো মাথার কেশ।
সেই কেশেতে গয়না পরায় প্রজাপতির ঝাঁক,
চজুতে তাল ছিটায় সেথা কালো কালো কাক।
সাদা সাদা বক-কনেরা রচে সেথায় মালা,
শরৎকালের শিশির সেথা জ্বালায় মানিক আলা
তারি মায়ায় থোকা থোকা দোলে ধানের ছড়া,
মার আঁচলের পরশ থোকা যেন সকল অভাব-হরা।
সেই ফসলে আসমানিদের নেইকো অধিকার,
জীর্ণ পাঁজর বুকের হাড়ে জ্বলছে হাহাকার।
ক. কোন ধরনের প্রবন্ধ কখনো হিতকর হতে পারে না?
খ. সুতরাং তাহা একেবারে পরিহার্য ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের প্রথম আট চরণে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনায় উল্লিখিত সাহিত্য রচনার কোন উদ্দেশ্য ফুটে উঠেছে।
ঘ. ‘উদ্দীপকে সাহিত্য সৃজনের প্রকৃত উদ্দেশ্যসমূহের পরিপূর্ণ প্রকাশ ঘটেছে’— প্রবন্ধের আলোকে মন্তব্যটি বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : পয়লা বৈশাখের ক্রোড়পত্রে ছাপানোর জন্য প্রকাশকের জরুরি তাগাদায় একটি প্রবন্ধ লেখে আশিক। কিন্তু লেখাটি নিজের মনঃপূত না হওয়ায় পরে একসময় ছাপাতে চায় সে। আশিকের এমন মনোভাবের কথা জানতে পেরে প্রকাশক বলেন, পয়লা বৈশাখের সংখ্যায় লেখা ছাপালে বহু লোক তাকে চিনবে। তাছাড়া টাকাও বেশি পাওয়া যাবে। তাঁর কথায় আশিক লেখাটি ছাপাতে রাজি হয়।
ক. কোথায় এখন অনেকে টাকার জন্য লেখে এবং লেখাও ভালো হয়?
খ. বঙ্কিমচন্দ্র লেখাকে কিছুকাল ফেলে রাখতে বলেছেন কেন?
গ. আশিকের প্রথম সিদ্ধান্তটি ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার কোন প্রসঙ্গকে ইঙ্গিত করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. আশিকের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তটি তার লেখকসত্তা বিকাশে কেমন প্রভাব ফেলবে বলে তুমি মনে করো? বিশ্লেষণী মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ : শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় তাঁর লেখনীর মাধ্যমে সমাজ পরিবর্তনের চেষ্টা করেছেন। তিনি বিভিন্ন গল্প ও উপন্যাসের মাধ্যমে সমাজের কুসংস্কার ও সামন্তবাদী সমাজব্যবস্থার নেতিবাচক দিকগুলো তুলে ধরেছেন। ফলে তাঁর লেখা ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। লেখনীর মধ্য দিয়েই তিনি হয়ে ওঠেন অপরাজেয় কথাশিল্পী।
ক. লেখকের মতে, সভ্য ও ধর্ম ব্যতীত অন্য উদ্দেশ্যে লেখনী ধারণ কী?
খ. সাহিত্য রচনার প্রকৃত উদ্দেশ্য কী? ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকে বাংলা সাহিত্যের উন্নতিতে ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার লেখকের প্রত্যাশার প্রতিফল ঘটেছে কি? তোমার মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১২ : স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যে ফুলপুর এলাকার মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানানোর জন্য শাপলা একটি প্রবন্ধ লিখে পত্রিকায় ছাপানোর উদ্যোগ নেয়। প্রথমেই সে সমস্ত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে। এবং প্রয়োজনমতো প্রবন্ধে সংযুক্ত করে লেখার পর কয়েকজন বন্ধুকে লেখাটি পড়তে দেয় এবং তারপরও কয়েকদিন সময় নিয়ে নানা ত্রুটি সংশোধন করে।
ক. কোন ধরনের সাহিত্য লেখকের পক্ষে অবনতিকর?
খ. যে কথার প্রমাণ দিতে পারিবে না, তাহা লিখিও না’- ব্যাখ্যা করো।
গ. লেখা ছাপানোর উদ্যোগ গ্রহণের প্রথম ধাপে শাপলা কোন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে? ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধ অনুসারে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. শাপলা রচনা লেখার ক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ যথাযথভাবে মেনে চলেছে কি? তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো।
বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১৩ : স্থানীয় প্রভাবশালীদের ছত্রছায়ায় থাকা সন্ত্রাসীদের দৌরাত্ম্যে ফুলপুর এলাকার মানুষের নাভিশ্বাস উঠেছে। এ বিষয়ে প্রতিবাদ জানানোর জন্য শাপলা একটি প্রবন্ধ লিখে পত্রিকায় ছাপানোর উদ্যোগ নেয়। প্রথমেই সে সমস্ত তথ্য-প্রমাণ সংগ্রহ করে। এবং প্রয়োজনমতো প্রবন্ধে সংযুক্ত করে লেখার পর কয়েকজন বন্ধুকে লেখাটি পড়তে দেয় এবং তারপরও কয়েকদিন সময় নিয়ে নানা ত্রুটি সংশোধন করে।
ক. কোন ধরনের সাহিত্য লেখকের পক্ষে অবনতিকর?
খ. যে কথার প্রমাণ দিতে পারিবে না, তাহা লিখিও না’- ব্যাখ্যা করো।
গ. লেখা ছাপানোর উদ্যোগ গ্রহণের প্রথম ধাপে শাপলা কোন বিষয়টি নিশ্চিত করেছে? ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ প্রবন্ধ অনুসারে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. শাপলা রচনা লেখার ক্ষেত্রে বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের পরামর্শ যথাযথভাবে মেনে চলেছে কি? তোমার মতামত বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১৪ : লেখক হওয়া সাধনা ও নিষ্ঠার ব্যাপার। বিখ্যাত লেখক স্টিফেন কিং লেখালেখি বিষয়ে দিয়েছেন বেশ কিছু উপদেশ-
১. অন্যকে সন্তুষ্ট করার জন্য নয়, বরং নিজের দায়িত্ববোধ থেকে দেখো। সত্য বলতে হবে, তা যত তিব্বই হোক। নিজের বিবেক ও প্রজ্ঞাকে কাজে লাগাও।
২. কোনো কিছু লেখার পর সেটি পুনরায় দেখো। নিজের লেখার প্রথম পাঠক হবে নিজেই। সমালোচকের দৃষ্টি দিয়ে নিজের লেখা ব্যবচ্ছেদ করো। আর এটা করতে হবে নির্দয়ভাবে।
৩. পান্ডিত্যের ভান করবে না। অযথা গুরুগম্ভীর শব্দ ও জটিল বাক্য ব্যবহার করে অন্যকে চমকিত করার চেষ্টা কোনো কাজের বিষয় নয়। অকারণে ঘুরিয়ে-পেঁচিয়ে বলার অভ্যাস পরিহার করো।
৪. অন্য কোনো লেখককে হুবহু অনুকরণ করে লিখবে না। নিজের স্টাইল তৈরি করো। নিজের ধ্যানধারণা থেকে নিজের মতো করে লেখো, স্বকীয়তা নিয়ে।
ক. ‘যে বিষয়ে যাহার অধিকার নেই, সে বিষয়ে তাহার হস্তক্ষেপ অকর্তব্য’- এ নিয়মটি কোন সাহিত্যে রক্ষিত হয় না?
খ. ‘বিদ্যা প্রকাশের চেষ্টা করিবেন না’- বুঝিয়ে লেখো।
গ. উদ্দীপকের ১ নম্বর উপদেশ ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার আলোকে ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের পরামর্শ লেখক ও পাঠক উভয়কেই উপকৃত করবে –প্রবন্ধের আলোকে উদ্ভিটি বিশ্লেষণ করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১৫ : কবিতায় আমরা অনেক কিছু বলতে পারি। কখনো বলতে পারি ঘর-ফাটানো হাসির কথা। বলতে পারি টগবণে রাগের কথা। বলতে পারি চমৎকার ভালো কথা। কখনো বাজাতে পারি নাচের শব্দ। আবার কখনো আঁকতে পারি রঙিন ছবি। কিন্তু সবসময়ই মনে রাখতে হবে, ওই কথা নতুন হতে হবে। যা একবার কেউ বলে গেছে, যে-ছবি একবার কেউ এঁকে গেছে, তা বলা যাবে না, সে ছবি আঁকা যাবে না। শিক্ষা থেকে কবিতা
ক. ‘যশ’ শব্দের অর্থ কী?
খ. “সাময়িক সাহিত্য লেখকের পক্ষে অবনতিকর” ব্যাখ্যা করো।
গ. উদ্দীপকের পরামর্শ ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার কোন দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. “স্বভাষার সাহিত্যোন্নয়নে উদ্দীপকের লেখক এবং ‘বাঙ্গালার নব্য লেখকদিগের প্রতি নিবেদন’ রচনার লেখকের মতামত সমদর্শী” উক্তিটির যথার্থতা বিচার করো।