আজকের আলোচ্য বিষয়: লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
লালসালু উপন্যাসের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১: ওয়াসিকা গ্রামের এক দুরন্ত মেয়ে। বন্ধুদের সঙ্গে ছুটোছুটি করা, অবাধে সাতার কাটা তার আনন্দের কাজ। তার বাবা অভাবের তাড়নায় ওয়াসিকাকে পাশের গ্রামের এক বুড়ো লোকের সাথে বিয়ে দিলেন। লোকটি গ্রামের মাতব্বর ৷ তাকে সবাই একাব্বর মুন্সি বলে ডাকে। মুন্সির কথা গ্রামের সবাই মানলেও চঞ্চল ও স্বাধীনচেতা ওয়াসিকা তার কথা মানে না।
ক. ধলা মিয়া কেমন ধরনের মানুষ ছিল?
খ. “সজোরে নড়তে থাকা পাখাটার পানে তাকিয়ে সে মূর্তিবৎ বসে থাকে” বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. ওয়াসিকা “লালসালু’ উপন্যাসের জমিলার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ – ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকের একাব্বর মুন্সি “লালসালু” উপন্যাসের মজিদ চরিত্রের সামগ্রিক দিক ধারণ করেনি” – মূল্যায়ন কর ।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : রহিম হাওলাদার অবস্থাসম্পন্ন কৃষক। কিন্তু গত তিন বছর তাঁর জমিতে ফসল ফলেনি। অনাবৃষ্টি ও অপুষ্টির কারণে ফলন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রহিম হাওলাদার এ সমস্যার কথা জানালেন স্থানীয় মসজিদের ইমামকে। ইমাম সাহেব সব শুনে বললেন রহিম হাওলাদারের জমিতে বদ জিনের কুনজর পড়েছে। যদি মসজিদে কিছু টাকা হাদিয়া দেওয়া হয় এবং মিলাদ পড়িয়ে সবাইকে শিরনি খাওয়ানো হয় তাহলে এ সমস্যা সমাধান হবে।
ক. মজিদের মাজারটি কথিত কোন পীরের?
খ. ‘শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি’ – কেন বলা হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের ইমামের সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদের সাদৃশ্য ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘ধর্মব্যবসায় ভ- লোকের অন্যতম হাতিয়ার।’ – উক্তিটিকে মজিদ ও ইমামের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : পলাশপুর গ্রামের মৌলভী সাহেব জোয়ারদার মিয়া সকলের প্রিয় পাত্র। শুধু ধর্মীয় ব্যাপারে নয়, সবখানেই তার পদচারণা। অসুখ-বিসুখে ঝাড়ফুঁক, পানিপড়া এসবের পরিবর্তে তিনি সবাইকে অভিজ্ঞ ডাক্তারের শরণাপনড়ব হতে পরামর্শ দেন।
ক. বাহে মুলুক কোথায়?
খ. ‘শস্যের চেয়ে টুপি বেশি’ – এখানে কী বুঝানো হয়েছে?
গ. মজিদ কোন দিক দিয়ে জোয়রদার মিয়ার সমকক্ষ হতে পেরেছে কি? উত্তরের সপক্ষে যুক্তি দেখাও।
ঘ. ‘লালসালু’ উপন্যাসের মজিদ যদি উদ্দীপকের জোয়রদার মিয়ার মতো হতো তবে ধর্মের নামে ভণ্ডামি লোপ পেত – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : সাপ খেলা এখন আর কেউ দেখতে চায় না। কিন্তু সাপ খেলা ছাড়া তারা বংশপরম্পরায় আর কিছু পারেও না। তাদের একমাত্র দক্ষতা হলো সাপের ওপর নিয়ন্ত্রণ। জীবিকার তাগিদে বাধ্য হয়ে তারা এখন শহরে সাপ নিয়ে মানুষকে ভয় দেখিয়ে টাকা আদায় করে। একে অনেকেই চাঁদাবাজির নতুন পন্থা হিসেবে দেখছে। কিন্তু কেউই তাদের অসহায়ত্বের কথা ভাবে না।
ক. ‘লালসালু’ কোন শ্রেণির উপন্যাস?
খ. তাহেরের বাপ তার মেয়েকে মেরেছে এই কথা শুনে মজিদের মুখ কঠিন হয়ে যায় কেন?
গ. উদ্দীপকের সাপুড়েদের নতুন জীবনবৃত্তির সাথে মজিদের উদ্ভাবিত জীবনবৃত্তির তুলনা কর।
ঘ. ‘মজিদরা পরিস্থিতির শিকার’ – উদ্দীপক ও ‘লালসালু’ উপন্যাসের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : মনোবিজ্ঞানী সিগমন্ড ফ্রয়েড বলেছেন, মানুষ প্রবৃত্তির দাস, আত্মধ্বংসী ও আগ্রাসী মনোভাব তার নির্জ্ঞানে অবস্থিত। তিনি আরো বলেন, যুদ্ধ ঘটে জৈবিক প্রয়োজনে এবং যুদ্ধ অনিবার্য। মানুষের মনের হিংসাত্মক প্রবণতা যুদ্ধ ঘটায়। অন্য মনোবিজ্ঞানী পাভলভ বলেন, হিংসা প্রবৃত্তি হলো সামাজিক পরাবর্ত। আসলে হিংসা সাধারণত আত্মরক্ষা প্রবৃত্তির দেশকালাশ্রিত অভিব্যক্তি। আত্মরক্ষার তাগিদে মানুষ বাধ্য হয়ে প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়।
ক. মজিদ কোন পিরের নামে মাাজার প্রতিষ্ঠা করে?
খ. ‘জমিলা যেন ঠাঁটাপড়া মানুষের মতো হয়ে গেছে’ – কেন?
গ. উদ্দীপকের সিগমন্ড ফ্রয়েড এর দর্শন ‘লালসালু’ উপন্যাসে মজিদ চরিত্রের যে দিক উšে§াচন করেছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকে মনোবিজ্ঞানী পাভলভ এর মন্তব্য ‘লালসালু’ উপন্যাসের আলোকে বিশ্লেষণ করে দেখাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : এখনো বাংলাদেশের এমন কিছু গ্রাম আছে যেখানে সভ্যতার আলো ঠিকভাবে পৌঁছায়নি। সেখানে মানুষ লড়ে যায় প্রকৃতির সাথে, সর্বনাশা নদীর সাথে, কখনোবা অন্ধকার আর অজ্ঞতার সাথে। জরা তাদের নিত্যসঙ্গী, ধর্ম তাদের একমাত্র অবলম্বন। সামাজিক অগ্রসরতা তাদের কাছে দুর্বোধ্য দেয়াল যাকে অতিক্রম করে তারা শামিল হতে পারে না আধুনিকতার জোয়ারে।
ক. মজিদকে প্রম দেখে জমিলার কী মনে হয়েছিল?
খ. পির সাহেবের আগমনে মজিদ চিন্তিত হয়ে পড়ে কেন?
গ. উদ্দীপকের গ্রামটির সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের যে গ্রামটির সাদৃশ্য আছে তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. “উদ্দীপকে উল্লিখিত সামাজিক অগ্রসরতা তাদের কাছে দুর্বোধ্য দেয়াল” মন্তব্যটি ‘লালসালু’ উপন্যাসের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ : মধ্যযুগের বাংলার মুসলিম নারী সমাজ অনেকটাই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত ছিল। শিক্ষা গ্রহণের সুযোগ তো তারা পেতই বরং চার দেয়ালে বন্দি জীবন কাটাতো। বিয়ের আগে বাবার বাড়িতে যেমন গৃহস্থালি কাজ করতো বিয়ের পরে তেমনি। পুরুষতান্ত্রিক সমাজে সর্বদাই নারীরা ছিল অবহেলার পাত্র। পুরুষের হুকুম তামিল করা নারীদের অন্যতম প্রধান কাজ বলে
বিবেচিত হতো।
ক. ‘লালসালু’ উপন্যাসের আক্কাসের বাবার নাম কী?
খ. ‘সজোরে নড়তে থাকা পাখাটার পানে তাকিয়ে সে মূর্তিবৎ বসে থাকে’ – বলতে কী বোঝানো হয়েছে।
গ. উদ্দীপকের বর্ণিত বিষয়গুলো রহিমার মধ্যে বিদ্যমান মন্তব্যটি ব্যাখ্যা করো।
ঘ. উদ্দীপকের বিষয়টি ‘লালসালু’ উপন্যাসের একমাত্র বিষয় নয় মন্তব্যটির বিশ্লেষণধর্মী বিচার করো।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : আলীপুর গ্রামের প্রায় সবাই কৃষিজীবী, জমির সাথে তাদের আত্মার সম্পর্ক। ফসলই তাদের মুখে হাসি আনে, ফসলহানি দুর্ভোগ ডেকে আনে। শত কষ্টেও তারা জীবনকে উপভোগ করে। অগ্রহায়ণে নবানড়ব উৎসব, এর সাথে নাচ-গানের আনুষ্ঠানিকতা আছেই। জীবনযুদ্ধে ক্লান্ত এসব মানুষকে হাসি-আনন্দ, ঠাট্টা-তামাশাই বাঁচিয়ে রাখে। এলাকার চেয়ারম্যান আজাদ তা একদম পছন্দ করেন না। তার ধারণা সাধারণ মানুষের এই নির্মল আনন্দ সামাজিক বিশৃঙ্খলা ও অশ্লীলতা বৃদ্ধির অন্যতম নিয়ামক।
ক. মসজিদের সাথে কার শক্তির প্রভেদ আছে?
খ. ‘খোদার বান্দা সে নির্বোধ ও জীবনের জন্য অন্ধ’। কে? কেন? বুঝিয়ে লিখ।
গ. অনুচ্ছেদের আজাদ ‘লালসালু’ উপন্যাসে কার কথা মনে করিয়ে দেয়? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘মানুষের স্বতঃস্ফূর্ত জীবন প্রবাহে বাধা সামাজিক সুস্থতা ব্যাহত করে।’ কীভাবে? উদ্দীপক ও উপন্যাসের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : চাঁপাতলী গ্রাম শতভাগ শিক্ষিত হওয়ার গৌরব অর্জন করায় গ্রামের চেয়ারম্যান কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গামী ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য বিশেষ সংবর্ধনার আয়োজন করেন। কারণ তারা এ লক্ষ্য পূরণের জন্য প্রচুর খেটেছে। গ্রামের মানুষ এতে অকুণ্ঠ সমর্থন জানালেও বাদ সাধে গ্রামের মাজারের খাদেম কলিমউল্লাহ। তার মতে বাংলা শিক্ষা নিয়ে এ মাতামাতি সম্পূর্ণ বেদায়েত, এতে ধর্মবিশ্বাস বাধাগ্রস্ত হয়। প্রত্যুত্তরে চেয়ারম্যান বলেন, বাংলা ইংরেজি কোন শিক্ষার সাথেই ধর্মের বিরোধ নেই বরং শিক্ষিত মানুষের ধর্মবিশ্বাস সুদৃঢ়। অজ্ঞানতার জন্যই মানুষ ধর্মীয় কুসংস্কারে বিশ্বাস করে।
ক. বেহেস্তে কাদের স্থান নির্দিষ্ট?
খ. ‘শস্যের চেয়ে টুপি বেশি, ধর্মের আগাছা বেশি।’ উদ্ধৃতাংশের তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
গ. উদ্দীপকের কলিমউল্লাহর চিন্তার সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কার চিন্তার মিল রয়েছে? কীভাবে?
ঘ. চাঁপাতলী গ্রামের চেয়ারম্যানের শিক্ষাচিন্তা কীভাবে মানুষের মনের অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কারকে দূর করতে পারে? উপন্যাস ও উদ্দীপকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : অভীক বিশ্ববিদ্যালয়ের তৃতীয় বর্ষের একজন মেধাবী শিক্ষার্থী। নিজ গ্রামের বাড়িতে একটি লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠান উদ্যোগ নেয় সে। সবাই এ উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে প্রয়োজনীয় বই, ঘর এবং অর্থ দিয়ে সহযোগিতা করতে থাকে। কিন্তু মসজিদের ইমাম এতে বাধা দেন এবং বলতে থাকেন, “লাইব্রেরির চেয়ে মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গ্রামের ছেলেমেয়েদেরকে কেবল ধর্মীয় শিক্ষা দিলেই চলবে।” ফলে লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ থেমে যায় এবং মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার কার্যক্রম শুরু হয়।
ক. ‘ঠগ-পীরের পানিপড়ায় কি কোনো কাম হয়’ উক্তিটি কার?
খ. খেলোয়াড় চলে গেছে, খেলবে কার সাথে। ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের অভীক ‘লালসালু’ উপন্যাসের আক্কাস চরিত্রকে কোন দিক থেকে প্রতিনিধিত্ব করে? বর্ণনা কর।
ঘ. উদ্দীপকে লাইব্রেরি এবং ‘লালসালু’ উপন্যাসে স্কুল প্রতিষ্ঠার উদ্যোগকে সফল করতে কী কী পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেত? যুক্তিসহ তোমার মতামত দাও।
সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ : চর কাউয়া বাজারে এমবিবিএস পাস করা শিক্ষিত ডাক্তার আসাতে বিপদে পড়ে গেলেন ফৈজু কবিরাজ। নিজের প্রভাব গ্রামবাসীর উপর বজায় রাখার জন্য নিজের কিছু সঙ্গীসাথী নিয়ে ডাক্তারের চেম্বারে গেলেন তিনি। ডাক্তারকে চিকিৎসা সম্পর্কিত কিছু উল্টাপাল্টা প্রশড়ব করে বিড়ম্বনায় ফেলে দেন। কবিরাজের আকস্মিক আক্রমণে ও উদ্ভট প্রশড়ব শুনে ডাক্তার হতভম্ব হয়ে যান। ডাক্তারকে নির্বাক দেখে চেম্বারে উপস্থিত লোকেরা ডাক্তারকে ভুয়া ভেবে চেম্বার পরিত্যাগ করে।
ক. ‘লালসালু’ উপন্যাসে কার উক্তি দুই দিকে কাটে?
খ. ‘নিরাকপড়া শ্রাবণ’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকের সাথে ‘লালসালু’ উপন্যাসের কোন ঘটনার মিল আছে তা বর্ণনা কর।
ঘ. ‘চোরের মন পুলিশ পুলিশ’ – উক্তিটিকে মজিদ ও উদ্দীপকের আলোকে ব্যাখ্যা কর।