সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর – (PDF) সিরাজউদ্দৌলা : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর
সৃজনশীল প্রশ্ন ১ :
যতদিন রবে পদ্মা, মেঘনা, গৌরী, যমুনা বহমান
ততদিন রবে কীর্তি তোমার শেখ মুজিবুর রহমান।
ক. কোম্পানির ঘুষখোর ডাক্তার কে?
খ. “ঘরের লোক অবিশ্বাসী হলে বাইরের লোকের পক্ষে সবই সম্ভব’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি “সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের মূলভাবকে কীভাবে ধারণ করেছে তা বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ২ : মধুমতি নদীতে জেগে উঠেছে চান্দের চর। পলিময় উর্বর সেই ভূমি, দেখলে যে কারওই চোখ টাটায়। মন্তু মিয়াও এর বাইরে নয়। কিন্তু এলাকার প্রবল প্রতাপশালী জমিদারের সঙ্গে লড়বে কে? মন্তু মিয়া তাই গোপনে হাত মেলায় জমিদারের জাতি ভাই গজনবী চৌধুরীর সঙ্গে। তার সহায়তায় মন্তু মিয়া এবং তার লাঠিয়াল বাহিনী চরটি দখল করে নেয়। এবার মন্তু মিয়ার নতুন চরের দায়িত্ব নেওয়ার পালা। সে গজনবী চৌধুরীর উপস্থিতি ও দোয়া ছাড়া চান্দের চরের দায়িত্ব গ্রহণ করতে অপারগতা প্রকাশ করে। এভাবেই নদীর বুকে জেগে ওঠা নতুন চর চিরকালের জন্য জমিদারের হাতছাড়া হয়ে যায়।
ক. সিরাজউদ্দৌলার শ্বশুরের নাম কী?
খ. ‘আমার নালিশ আজ আমার নিজের বিরুদ্ধে’ বুঝিয়ে লেখ।
গ. উদ্দীপকের মন্তু মিয়ার সঙ্গে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের মিরজাফর চরিত্রের তুলনা কর।
ঘ. উদ্দীপকটি ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের বেদনাবহ পরিণতির খণ্ডিত চিত্র। তোমার মতামত দাও।
অস্ত্র বল পরীক্ষার প্রধান উপকরণ কেন
সিরাজউদ্দৌলা নাটকের সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ৩ : বিধবা সখিনা বেগম নিঃসন্তান। স্বামীর রেখে যাওয়া সকল সম্পত্তির মালিক এখন সে। বোনের ছেলে মিরাজকে সন্তান স্নেহে বড় করেছে। পারিবারিক ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ‘তিব্বত কোম্পানি’র অংশীদার সখিনা বেগম এবং তার দেবর। দেবর-পুত্র রিয়াজও মিরাজের সমবয়সী। সখিনা বেগম ভাবে ‘তিব্বত কোম্পানি’র পুরো অংশীদারিত্ব যদি মিরাজকে দেওয়া যেত তবে ভালো হত। ভিতরে ভিতরে অনেক কূটকৌশল আঁটে সে। এক সময় সিদ্ধান্ত নেয়, রিয়াজকে সে দুনিয়া থেকে সরিয়ে দেবে। কিন্তু সুপ্ত বিবেক তাকে বাধা দেয়।
ক. নবাব সিরাজউদ্দৌলা কলকাতা দুর্গ দখল করে তার কী নাম রাখেন?
খ. ‘ইনি কি নবাব না ফকির’ – উক্তিটি দ্বারা কী বোঝানো হয়েছে?
গ. উদ্দীপকে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন অংশের রেখাপাত ঘটেছে? বুঝিয়ে দাও।
ঘ. “সখিনা বেগমের মতো ঘসেটি বেগম যদি বিবেকবান হতো, তবে পলাশির প্রান্তরে বাংলার স্বাধীনতার সূর্য অস্তমিত হতো না” – মন্তব্যটি বিশ্লেষণ কর।
(PDF) সিরাজউদ্দৌলা : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ৪ : পলাশপুরের বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে পরিচালিত সবকটি যুদ্ধাভিযানে কৃতিত্বের পরিচয় দিয়েছে। পাক সেনাদের কুপোকাত করে নিজের এলাকা সুরক্ষিত রেখেছে। রুস্তম আলীর জ্ঞাতি ভাই কাশেম আলী একজন দেশদ্রোহী, একজন বিশ্বাসঘাতক রাজাকার। রুস্তম আলী অনেক বুঝিয়েও তাকে সুপথে আনতে পারেনি। একদিন কাশেম আলী সুকৌশলে রুস্তম আলীকে ধরিয়ে দেয় পাক সেনাদের হাতে।
ক. কোন ফরাসি সেনাপতি পলাশীর প্রান্তরে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পক্ষে যুদ্ধ করেন?
খ. ‘আমার শেষ যুদ্ধ পলাশিতেই কে, কোন প্রসঙ্গে বলেছেন?
গ. উদ্দীপকে ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন দিকটি ফুটে উঠেছে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. আপনজনের দ্বারা ভয়াবহ বিপর্যয়ের শিকার নবাব সিরাজউদ্দৌলা ও রুস্তম আলী – মন্তব্যটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
(PDF) সিরাজউদ্দৌলা : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ৫ : শহিদ মুক্তিযোদ্ধা তরুন বদির নাম আমাদের সবার জানা। অসম্ভব মেধাবী ছেলেটি ইচ্ছা করলেই অন্যভাবে জীবনযাপন করতে পারত, কিন্তু দেশের ক্রান্তিকালে সে নিজের স্বার্থকে দেশের স্বার্থে বির্সজন দিয়েছিল। অসম সাহসের সাথে অনেক অভিযান পরিচালনা করে শেষ পর্যন্ত সে ধরা পড়ে পাকিস্তানি সেনাদের কাছে। পাকিস্তানি সেনারা তাকে ক্ষমার জন্য আবেদন করতে বললে সে অস্বীকৃতি জানায় এবং স্বানন্দ্যে মৃত্যুকে বরণ করে নেয়।
ক. সিরাজউদ্দৌলার গুপ্তচরের প্রকৃত নাম কী?
খ. পলাশিতে দেশপ্রেমিক সৈনিকরা যুদ্ধ করার সুযোগ পায়নি কেন?
গ. উদ্দীপটি ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের যে দিকটির সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ তা ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘প্রকৃত দেশপ্রেমিকের কাছে স্বাধীনতা অর্জন কিংবা রক্ষার জন্য মৃত্যুভয় তুচ্ছ’ – মন্তব্যটি উদ্দীপক ও ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটক অবলম্বনে বিশ্লেষণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৬ : শেক্সপিয়র তাঁর ‘হ্যামলেট’ নাটকে সময়ের ঐক্যকে ব্যবহার করেছেন। তিনি একদিকে ছিলেন সমাজ সচেতন অন্যদিকে রাজনীতি সচেতন লেখক। তাই রাষ্ট্রনায়কদের নানা ত্রুটি বিচ্যুতিগুলোই অত্যন্ত দরদ দিয়ে ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছেন। নাটকটিতে বিশ্বাসঘাতকতা, বিষাদ, উন্মত্ততা ও প্রতিশোধ সুন্দরভাবে চিত্রিত করেছেন তিনি।
ক. কোম্পানির ঘুষখোর ডাক্তার কে?
খ. ‘উমিচাঁদে এ যুগের সেরা বিশ্বাসঘাতক’ কেন?
গ. উদ্দীপকে উল্লিখিত বিষয়গুলো ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের যে দিকের প্রতিফলন ঘটিয়েছে তার ব্যাখ্যা দাও।
ঘ. “উদ্দীপকটি কেবল বিষয়বস্তু নয় আঙ্গিককেও ধারণ করেছে” ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের আলোকে মন্ত্যটির যৌক্তিকতা বিচার কর।
(PDF) সিরাজউদ্দৌলা : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ৭ :
এই পবিত্র বাংলাদেশ
বাঙালির আমাদের
দিয়া প্রহারেণ ধন্ঞ্জয়
তাড়াব আমরা করি না ভয়
যত পরদেশি দস্যু ডাকাত
রামাদের গামাদের।
বাংলা বাঙালির হোক; বাংলার জয় হোক।
ক. কাকে আলিনগরের দেওয়ান নিযুক্ত করা হয়েছে?
খ. ‘তার নবাব হওয়াটাই আমার মস্থ ক্ষতি’ উক্তিটির তাৎপর্য লেখ।
গ. উদ্দীপকের পরদেশি দস্যু ডাকাত ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কাদের নির্দেশ করে? ব্যাখ্যা করো।
ঘ. ‘উদ্দীপকটি নাটকের খণ্ডিত চেতনার প্রতীক’ উক্তিটির যথার্থতা নিরূপণ কর।
সৃজনশীল প্রশ্ন ৮ : সেই হৃদয়ও নেই। সেই মাথাও নেই। শরীরে প্রাণ আছে কিন্তু সে যেন নিভু নিভু। শেষ রাতের প্রদীপ আমি, শুনে নাও আমার দুঃখের কাহিনি, ভোর হয়ে যাবে। হয়তো শেষ হয়েও গেছে। হায়দারাবাদ যে একদিন স্বাধীন সার্বভৌম রাজ্য ছিল।
ক. ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের যবনিকা উত্তোলনের স্থানটি কোথায়?
খ. সাঁফ্রে সিরাজের পক্ষে যুদ্ধ করেছেন কেন ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের লাইনগুলো নাটকের কোন চরিত্রের প্রতিনিধিত্ব করে? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. ‘একদিন স্বাধীন সার্বভৌম রাজ্য ছিল।’ উক্তিটি উক্ত চরিত্রের কোন বিষয়টিকে ইঙ্গিত করেছে আলোচনা করো।
(PDF) সিরাজউদ্দৌলা : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ৯ : ইকবাল সাহেব একজন সাহসী পুলিশ কর্মকর্তা। মরণঘাতী ইয়াবার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে তিনি দেশের মানুষের মন জয় করলেও কিছু মানুষের কাছে তিনি ঘোর শত্রু। কারণ তিনি তাদের অবৈধ উপার্জনের পথে বাধাস্বরূপ। অভিযান চালাতে গিয়ে বেশ কয়েকবার আক্রমণের শিকার হলেও কখনো মনোবল হারাননি। জীবনের শেষ শক্তি দিয়ে দেশের তরুণ প্রজন্মের নীরব মৃত্যুর বিরুদ্ধে লড়ার জন্য বদ্ধপরিকর।
ক. ক্লাইভের আসল দলিলে কার রেফারেন্স থাকবে না?
খ. ‘শুভকাজে অযথা বিলম্ব করা বুদ্ধিমানের কাজ নয়।’ উক্তিটি কার? কোন কাজের কথা বলা হয়েছে? বুঝিয়ে লিখ।
গ. উদ্দীপকের ইকবাল সাহেবের মতো ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের একটি সাহসী চরিত্রের বর্ণনা দাও।
ঘ. ‘পেছন থেকে আক্রমণের সুযোগ দিলে মৃত্যুর হাত থেকে পালানো যায় না।’ উদ্দীপক ও নাটকের আলোকে এ কথার তাৎপর্য বিশ্লেষণ কর।
(PDF) সিরাজউদ্দৌলা : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ১০ : জুলিয়াস সিজার যখন রোমে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করেন, তখন তার সিনেটরদের কেউ কেউ এটাকে ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। তারা সিজারকে হত্যার ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়। এই চক্রান্তকারীদের সঙ্গে সিজারের প্রিয়ভাজনরাও নিজ নিজ স্বার্থ উদ্ধারে হাত মিলায়। যার মধ্যে ছিল সিজারের ঘনিষ্ঠ বন্ধু ব্রুটাস। উদ্ধত ব্রুটাস ছুরি হাতে সিজারকে হত্যা করতে অগ্রসর হলে বিস্মিত সিজার নিদারুণ বেদনায় শুধু উচ্চারণ করেছিল, “ব্রুটাস তুমিও!”
ক. নবাব সিরাজউদ্দৌলার জননী কে?
খ. মিরজাফর কোম্পানির সাথে দলিল সইয়ের সময় মড়াকানড়বা শোনার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য কী?
গ. অনুচ্ছেদের ব্রু টাস ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন চরিত্রটিকে এবং কেন মনে করিয়ে দেয়?
ঘ. “হীন স্বার্থ চরিতার্থে নির্মম বিশ্বাসঘাতকতা যুগে যুগে মহান শাসকদের পতন ত্বরান্বিত করেছে।” অনুচ্ছেদ ও ‘সিরাজউদ্দৌলা’ অবলম্বনে মন্তব্যটি যাচাই কর।
(PDF) সিরাজউদ্দৌলা : সৃজনশীল প্রশ্ন ও উত্তর সৃজনশীল প্রশ্ন ১১ : পাকিস্তানি শাসকবর্গ দীর্ঘ চব্বিশ বছর বাঙালিদের উপর শাসন, শোষণ, অত্যাচার ও নির্যাতন চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে এদেশের মানুষ স্বাধীনতার জন্য বুকের তাজা রক্ত ঢেলে দিয়েছে এবং দেশ স্বাধীন করেছে। দেশের মানুষের জন্য বঙ্গবন্ধু বহুবার জেল খেটেছেন। ১৯৭৫ সালে দেশি-বিদেশি স্বার্থান্বেষী মহল ষড়যন্ত্র করে দেশপ্রেমিক এই মহান নেতাকে হত্যা করে।
ক. ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের প্রম সংলাপটি কার?
খ. ‘সিরাজ আমার কেউ নয়’ ঘসেটি বেগম কেন একথা বলেছেন? ব্যাখ্যা কর।
গ. উদ্দীপকের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেশপ্রেমের বিষয়টি ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের কোন চরিত্রের সাথে অধিকতর সংগতিপূর্ণ? ব্যাখ্যা কর।
ঘ. উদ্দীপকের স্বার্থান্বেষী মহলের ভূমিকা ‘সিরাজউদ্দৌলা’ নাটকের আলোকে বিশ্লেষণ কর।