সুচেতনা কবিতার mcq : মানুষের প্রতি ভালোবাসা থেকে তাদের কল্যাণে কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় অশুভ শক্তির সঙ্গে সংঘর্ষে লিপ্ত হতে হয়। সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে অসংখ্য প্রাণহানি ও রক্তপাতের ঘটনা ঘটে। এ রক্তপাতে যে শক্তিকে পরাস্ত করা হয় তারাও কোনো না কোনোভাবে আমারই ভাই বা বন্ধু।
পৃথিবীতে সংঘটিত অসংখ্য নেতিবাচক ঘটনা প্রত্যক্ষ করে কখনো কবির মনে হয়- পৃথিবীতে জন্ম না নিলেই হয়তো ভালো হতো। কিন্তু পরক্ষণেই এই পৃথিবীর স্নেহের দান এবং শুভবোধকে প্রত্যক্ষ করে তিনি প্রাণিত হন।
সুচেতনা কবিতার mcq
১. কবি জীবনানন্দ দাশের বিশ্বাস মতে সুচেতনা—
ক. বিকেলের নক্ষত্র
খ. দূরতর দ্বীপ
গ. শাশ্বত রাত্রি
ঘ. দারুচিনি বন
২. ‘মানুষ তবু ঋণী পৃথিবীরই কাছে’ উক্তিটিতে প্রকাশ পেয়েছে—
ক. ইহলৌকিকতা
খ. ভাবালুতা
গ. সাম্যবাদী চেতনা
ঘ. পরাবাস্তববাদী চেতনা
• নিচের উদ্দীপকটি পড়ে ৩ ও ৪ নং প্রশ্নের উত্তর দাও।
তবে পাল খোলো, তবে নোঙর তোলো;
এবার অনেক পথ শেষে সন্ধানী
হেরার তোরণ মিলবে সম্মুখে জানি।
৩. উদ্দীপক ও কবিতার মধ্যে প্রতিফলিত হয়েছে—
ক. অতীতের মোহমুগ্ধতা
খ. দেশপ্রেমের চেতনা
গ. সংকট উত্তরণের প্রত্যাশা
ঘ. সমকাল নিয়ে হতাশা
৪. ‘হেরার তোরণ মিলবে সম্মুখে জানি’—উক্তির সাথে ‘সুচেতনা’ কবিতার কোন চরণের সাদৃশ্য লক্ষ করা যায়?
ক. এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতা সত্য
খ. মানুষ তবু ঋণী পৃথিবীরই কাছে
গ. সে অনেক শতাব্দীর মনীষীর কাজ
ঘ. শাশ্বত রাত্রির বুকে সকলি অনন্ত সূর্যোদয়
৫. জীবনানন্দ দাশ কোথায় জন্মগ্রহণ করেন?
ক. কলকাতায়
খ. বরিশালে
গ. রাজশাহীতে
ঘ. খুলনার
৬. জীবনানন্দ দাশ কত খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন?
ক. ১৮৯৭
খ. ১৮৯৮
গ. ১৯০০
ঘ. ১৮৯৯
৭. জীবনানন্দ দাশের জন্মতারিখ কোনটি?
ক. ১৭ ফেব্রুয়ারি
খ. ১৫ এপ্রিল
গ. ১৫ ফেব্রুয়ারি
ঘ. ১৭ মার্চ
৮. জীবনানন্দ দাশের পিতার নাম কী?
ক. বিপ্রদাস
খ. সত্যানন্দ দাশ
গ. জ্ঞানদাস
ঘ. জ্ঞানানন্দ দাশ
৯. জীবনানন্দ দাশের মায়ের নাম কী?
ক. পার্বতী দাশ
খ. কুসুমকুমারী দাশ
গ. মৃণালিনী দাশ
ঘ. মৃণ্ময়ী দাশ
১০. জীবনানন্দ দাশের মাতা কী ছিলেন?
ক. ছড়াকার
খ. বিখ্যাত কবি
গ. আবৃত্তিশিল্পী
ঘ. ঔপন্যাসিক
১১. জীবনানন্দ দাশের পিতা কোন স্কুলের প্রধান শিক্ষক ছিলেন?
ক. দরিরামপুর স্কুল
খ. মদনমোহন স্কুল
গ. রানী ভবানী স্কুল
ঘ. ব্রজমোহন স্কুল
১২. ব্রজমোহন স্কুল কোথায় অবস্থিত?
ক. খুলনা
খ. ফরিদপুর
গ. বরিশাল
ঘ. ময়মনসিংহ
১৩. জীবনানন্দ দাশ কার কাছে কবিতা লেখার অনুপ্রেরণা লাভ করেন?
ক. মায়ের কাছে
খ. ভাইয়ের কাছে
গ. বাবার কাছে
ঘ. দাদার কাছে
১৪. জীবনানন্দ দাশ কোন পেশায় নিযুক্ত ছিলেন?
ক. ওকালতি
খ. সাংবাদিকতা
গ. ডাক্তারি
ঘ. অধ্যাপনা
১৫. জীবনানন্দ দাশ কোন বিষয়ের অধ্যাপক ছিলেন?
ক. বাংলা
খ. ইংরেজি
গ. ইতিহাস
ঘ. দর্শন
১৬. জীবনানন্দ দাশ তাঁর কবিতায় কেমন জগৎ নির্মাণ করেন?
ক. সূক্ষ্ম ও গভীর অনুভবের জগৎ
খ. বেদনা ও হতাশার জগৎ
গ. উচ্চাশা ও উদ্যমের জগৎ
ঘ. জাঁকজমকপূর্ণ মানবিক জগৎ
১৭. নিসর্গের সঙ্গে কী যুক্ত হয়ে জীবনানন্দের হাতে অনন্যসাধারণ কবিতাশিল্প রচিত হয়েছে?
ক. অনুভব ও বোধ
খ. প্রজ্ঞা ও বিবেক
গ. বিচক্ষণতা ও জ্ঞান
ঘ. সুশিক্ষা ও মনন
১৮. কোন দিক দিয়ে জীবনানন্দ দাশের কবিতা তুলনারহিত?
ক. যন্ত্রণাক্লিষ্ট নাগরিক জীবন অঙ্কনের দিক থেকে
খ. গ্রামবাংলার নিসর্গের ছবি অঙ্কনের দিক থেকে
গ. দ্রোহ ও জাগরণী চেতনার দিক থেকে
ঘ. সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি প্রকাশের দিক থেকে
১৯. জীবনানন্দ দাশের কবিতাকে ‘চিত্ররূপময়’ বলে আখ্যা দিয়েছেন কে?
ক. আব্দুল মান্নান সৈয়দ
খ. সঞ্জয় ভট্টাচার্য
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘ. বুদ্ধদেব বসু
২০. জীবনানন্দের কবিতাকে রবীন্দ্রনাথের ‘চিত্ররূপময়’ বলার কারণ কী?
ক. অসাধারণ চিত্রকল্প
খ. অসাধারণ কাব্যবৈশিষ্ট্য
গ. অসাধারণ অলংকার
ঘ. অসাধারণ কবিভাষা
২১. বুদ্ধদেব বসু জীবনানন্দ দাশকে কী বলে আখ্যা দিয়েছেন?
ক. শুদ্ধতম কবি
খ. তিমির হননের কবি
গ. নির্জনতম কবি
ঘ. রূপসী বাংলার কবি
২২. জীবনানন্দ দাশের কোন ধরনের কবিতা বাঙালির জাতিসত্তা বিকাশের আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে?
ক. প্রেমবিষয়ক কবিতা
খ. নিসর্গবিষয়ক কবিতা
গ. শুভচেতনার কবিতা
ঘ. স্বদেশবিষয়ক কবিতা
২৩. নিচের কোন কবির নিসর্গ বিষয়ক কবিতা ১৯৭১-এর মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের সংগ্রামী জনতাকে তীব্রভাবে অনুপ্রাণিত করেছিল?
ক. জীবনানন্দ দাশ
খ. শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়
গ. আহসান হাবীব
ঘ. জসীমউদ্দীন
২৪. কবি ছাড়াও জীবনানন্দ দাশের পরিচয় রয়েছে কী হিসেবে?
ক. ছড়াকার
খ. গল্পকার
গ. প্রাবন্ধিক
ঘ. অনুবাদক
২৫. কোনটি জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ?
ক. ধূসর পাণ্ডুলিপি
খ. রৌদ্র করোটিতে
গ. শঙ্খমালা
ঘ. সীমান্ত ছাড়িয়ে
সুচেতনা কবিতার বহুনির্বাচনী প্রশ্ন উত্তর
২৬. কোনটি জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ নয়?
ক. ঝরাপালক
খ. বনলতা সেন
গ. মহাপৃথিবী
ঘ. কবিতার কথা
২৭. ‘বেলা অবেলা কালবেলা’ জীবনানন্দ দাশের কী ধরনের গ্রন্থ?
ক. কাব্যগ্রন্থ
খ. গল্পগ্রন্থ
গ. প্রবন্ধগ্রন্থ
ঘ. অনুবাদগ্রন্থ
২৮. ‘রূপসী বাংলা’ জীবনানন্দ দাশের কী ধরনের গ্রন্থ?
ক. কাব্য
খ. প্রবন্ধ
গ. গল্প
ঘ. উপন্যাস
২৯. ‘কবিতার কথা’ প্রবন্ধ গ্রন্থটির রচয়িতা কে?
ক. বুদ্ধদেব বসু
খ. শামসুর রাহমান
গ. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
ঘ. জীবনানন্দ দাশ
৩০. ‘মাল্যবান’ উপন্যাসটি কে রচনা করেন?
ক. রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
খ. জীবনানন্দ দাশ
গ. মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়
ঘ. আখতারুজ্জামান ইলিয়াস
৩১. কোনটি জীবনানন্দ দাশের কাব্যগ্রন্থ?
ক. বলাকা
খ. বনলতা সেন
গ. মেঘদল
ঘ. পূরবী
৩২. ‘সতীর্থ’ জীবনানন্দ দাশের কী ধরনের গ্রন্থ?
ক. কবিতা
খ. প্রবন্ধ
গ. গল্প
ঘ. উপন্যাস
৩৩. জীবনানন্দ দাশের লেখা উপন্যাসের সংখ্যা কতটি?
ক. ২টি
খ. ৩টি
গ. ৪টি
ঘ. ৫টি
৩৪. জীবনানন্দ দাশ কোথায় মৃত্যুবরণ করেন?
ক. দিল্লি
খ. কলকাতা
গ. বরিশাল
ঘ. ঢাকা
৩৫. জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুর কারণ কোনটি?
ক. বার্ধক্যজনিত অসুস্থতা
খ. ট্রেন দুর্ঘটনা
গ. ট্রাম দুর্ঘটনা
ঘ. হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়া
৩৬. জীবনানন্দ দাশের মৃত্যুতারিখ কোনটি?
ক. ১৯৫৪ খ্রিষ্টাব্দের ২২শে অক্টোবর
খ. ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের ২২শে অক্টোবর
গ. ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দের ২৩শে অক্টোবর
ঘ. ১৯৫৫ খ্রিষ্টাব্দের ২৩শে অক্টোবর
৩৭. ‘সুচেতনা’ শব্দটি কবি কী অর্থে ব্যবহার করেছেন?
ক. সুন্দর চেতনা
খ. নারী সম্বোধনে
গ. প্রেমিকার সম্বোধনে
ঘ. শুভ চেতনা
৩৮. কবির ভাবনায় সুচেতনা কীসের সঙ্গে তুলনীয়?
ক. নারীর সঙ্গে
খ. দূরতর দ্বীপের সঙ্গে
গ. সৌন্দর্যের সঙ্গে
ঘ. কবিতার সঙ্গে
৩৯. জীবনানন্দ দাশ সুচেতনাকে দূরতর দ্বীপ রূপে কল্পনা করেছেন কেন?
ক. সাধারণের অগম্য বলে।
খ. রহস্যময়তা প্রকাশের জন্য
গ. কবির নাবিকসুলভ মানসিকতার কারণে
ঘ. সুচেতনা সকলের মাঝে বিরাজমান নয় বলে
৪০. ‘সুচেতনা’ কবিতায় দূরতর দ্বীপটি কোথায় অবস্থিত?
ক. সকালের নক্ষত্রের কাছে
খ. বিকেলের নক্ষত্রের কাছে
গ. সন্ধ্যার নক্ষত্রের কাছে
ঘ. রাতের নক্ষত্রের কাছে
৪১. দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে কী আছে?
ক. নির্জনতা
খ. পাখির কলতান
গ. সুরম্য প্রাসাদ
ঘ. সুচেতনা
৪২. কোনটি পৃথিবীর শেষ সত্য নয়?
ক. রণ রক্ত বিফলতা
খ. রণ রক্ত সফলতা
খ. রাত্রি ও সূর্যোদয়
ঘ. অসুখ ও ক্রমমুক্তি
৪৩. এই পৃথিবীর রণ রক্ত সফলতাকে কবি শেষ সত্য বলে স্বীকার করেন না কেন?
ক. পৃথিবীর গভীরতর অসুখ বলে
খ. কবি আশাবাদী হতে পারছেন না বলে
গ. পৃথিবীর ক্রমমুক্তিতে আশাবাদী বলে
ঘ. কবি সত্যদ্রষ্টা বলে
৪৪. ‘রণ রক্ত সফলতা; বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
ক. যুদ্ধ-বিগ্রহ
খ. সীমাহীন রক্তপাত
গ. সভ্যতার দ্বন্দ্ব
ঘ. সভ্যতার বিকাশে যুদ্ধ ও রক্তপাত
৪৫. জীবনানন্দ দাশ দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে নির্জনতার কথা বলেছেন কেন?
ক. কবি নিসর্গপ্রেমিক বলে
খ. দারুচিনি বনানীর নীরবতা বোঝাতে
গ. সুচেতনা নাগরিক সভ্যতায় দুর্লভ বলে
ঘ. জনসমাজে নির্জনতা নেই বলে
৪৬. কবির মতে কোথায় নির্জনতা আছে?
ক. দারুচিনি-বনানীর ফাঁকে
খ. ফাঁকা মাঠে
গ. ভাঙা বেড়ার ফাঁকে
ঘ. ফুল বাগানে
৪৭. ‘প্রাণহীন বিবর্ণ নগরে, আমি যেন নির্জন দূরতর দ্বীপ,’ —চরণদ্বয় তোমার পাঠ্যবইয়ের কোন কবিতাকে নির্দেশ করে?
ক. বিভীষণের প্রতি মেঘনাদ
খ. সোনার তরী
গ. তাহারেই পড়ে মনে
ঘ. সুচেতনা
৪৮. ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবিপ্রাণ কোথায় ঘুরেছে?
ক. শুভ্র সকালে
খ. রূঢ় রৌদ্রে
গ. ঘন কুয়াশায়
ঘ. চন্দ্রালোকে
৪৯. ‘সুচেতনা’ কবিতায় কবিপ্রাণ রূঢ় রৌদ্রে ঘুরেছে কেন?
ক. জীবিকা সংগ্রহের তাগিদে
খ. সংগ্রামী চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে
গ. মানুষকে মানুষের মতো ভালোবাসতে
জ্ঞ. মানুষকে শ্রেণিসচেতন করে তুলতে
৫০. ‘আমি রোদে পুড়ে ঘুরে ঘুরে অনেক কেঁদেছি।’— সুচেতনা কবিতায় কোন চরণকে নির্দেশ করে?
ক. না এলেই ভালো হতো অনুভব ক’রে
খ. দেখেছি আমারি হাতে হয়তো নিহত ভাই বোন বন্ধু
গ. আজকে অনেক রূঢ় রৌদ্রে ঘুরে প্রাণ√
ঘ. আমাদের মতো ক্লান্ত ক্লান্তিহীন নাবিকের হাতে