কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।

প্রথমে আমরা কিডনি রোগের লক্ষণ সম্পর্কে কথা বলবো। তাছাড়া আরও কথা বলবো কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা সম্পর্কে জানানোর চেষ্টা করবো।

 

Table of Contents

কিডনি রোগের লক্ষণ

সাধারণত প্রাথমিক পর্যায় এ কিডনি রোগ এর তেমন কোনো প্রকার লক্ষণ তেমন প্রকাশ পায় না। তবে ধীরে ধীরে কিডনি এর কার্যক্ষমতা কমতে থাকলে কিছু কিছু লক্ষণ প্রকাশ পেতে শুরু করে।

ক্ষুধামন্দা, শরীরে ওজন কমে যাওয়া, শরীর এর বিভিন্ন অংশে (হাত, পা, মুখ ইত্যাদি) পানি জমে ফুলে যাওয়া, প্রস্রাবের পরিমাণ কমে যাওয়া বা প্রস্রাবের সাথে রক্ত বের হওয়া, শরীর এ ক্লান্তি ইত্যাদি লক্ষণ গুলো মূলত কিডনি রোগের লক্ষণ।

অনেকে বলে থাকে কিডনির ব্যথা কোথায় হয় মূলত পিঠের দিকে এবং পাঁজরের দু’পাশে এই ব্যাথা হয়ে থাকে। এখন জানতে পেরেছেন এই কিডনির ব্যথা কোথায় হয়। 

 

আরো পড়ুনঃ আয়াতুল কুরসি বাংলা উচ্চারণ

 

কিডনি রোগ প্রতিরোধের উপায়

কিডনি রোগ প্রতিরোধ এর জন্য নিচে কয়েকটি উপায় দেওয়া হলোঃ-

১. অনিয়ন্ত্রিত উচ্চ রক্তচাপ কিডনি কে বিকল করে দেয়। পরিবারে যাদের বয়স ৪০ এর বেশি, তারা নিয়মিতই রক্তচাপ মাপুন এবং সেটা বেশি হলে ওষুধ গ্রহণ করুন।

২. রক্তে শর্করা কাক্সিক্ষত মাত্রা এর নিচে রাখতেই হবে। নিয়মিত রক্ত এর শর্করা মাপতে হবে এবং চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

৩. অতিরিক্ত ওজন কিডনি রোগের কারণ গুলোর মধ্য একটি। তাই ব্যায়াম করে ওজন কমান। এটি কিডনি রোগ প্রতিরোধে দারুন ভুমিকা রাখে।

৪. যেকোনো ঔষধ খাবেন না। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়েই ঔষধ কিনবেন এবং সেগুলোই খাবেন।

৫. ধুমপান করা থেকে বিরত থাকুন। ধুমপান কিডনি তে রক্ত চলাচলে ব্যাঘাত ঘটায়।

৬. খাবারের তালিকাতে সুষম খাদ্য এবং শাক-সবজির পরিমাণ বৃদ্ধি করুন।

৭. বয়স ৪০ এর বেশি হলে নিয়মিত ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং চেকআপ করান।

এই পোস্ট টি পড়লে আপনাদের আর এই কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে তেমন কিছু জানার বাকি থাকবে না। আমরা আমাদের এই পোস্ট এর মাধ্যমে সব কিছু বলার চেষ্টা করেছি। সকল তথ্যই অনেক মনোযোগ সহকারে পড়বেন। 

কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার
কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার

 

কিডনি রোগের ঔষধের নাম

কিডনি রোগের জন্য নির্দিষ্ট কোনো ঔষধ বলা ঠিক হবে না। কারণ কিডনি রোগ এর অবস্থা বুঝেই ডাক্তার রা ঔষধ দিয়ে থাকেন। এক্ষেত্রে অন্য ঔষধ খেলে সমস্যা আরো বাড়বে। তাই কিডনি রোগের ঔষধ এর নাম ডাক্তারের চেক আপ করেই জেনে নিবেন। আমরা শুধু কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার সম্পর্কে কিছু সাজেশন দেয়ার চেষ্টা করবো।

এখন অনেক মোবাইল অ্যাপ পাওয়া যায় যেখানে অনেক রোগের ঔষধের নাম জানা যায়। আপনারা চাইলে এই কিডনি রোগের ঔষধের নাম সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানতে এগুলো ফলো করতে পারেন। 

 

কিডনি ভালো রাখার উপায়

কিডনি ভালো রাখতে হলে আমাদের কয়েকটি বিষয় ভালো ভাবে গুরুত্ব সহকারে দেখা উচিত। নিচে কয়েকটি জিনিস দেওয়া হলো যা কিডনি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

১. বেশি বেশি পানি খান, দিনে অন্তত ২ লিটার পানি পান করুন।

২. শাক – সবজি বেশি বেশি খান, এটি আপনার সাস্থ ভালো রাখার সাথে সাথে কিডনি ভালো রাখতেও সাহায্য করে।

৩. ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখুন, এটি কিডনি কে ভালো রাখতে সাহায্য করবে।

৪. রোজ কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়াম করুন। রোজ না পারলে সপ্তাহে এক দিন অন্তত করুন

৫. ধূমপান একেবারেই করা যাবে না, এটি কিডনিকে বিকল করে দেয়।

৬. পর্যাপ্ত পরিমাণে ঘুমাতে হবে।

আশা করি বুজতে পেরেছেন কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে। এখন আর এই বিষয়ে আর কোনো প্রশ্ন নেই আপনাদের তাছাড়াও যদি কিডনি ভালো রাখার উপায় সম্পর্কে আরও কোনো তথ্য জানার থাকে অবশ্যই আমাদের জানাবেন।

 

শেষ কথা

তো প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্ট এ আপনারা জানলেন, কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক টা ভালো লেগেছে। তাছাড়া আপনি চাইলে কিডনি রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা গুলো ফলো করতে পারেন। 

ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি তে। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।

 

Leave a Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *