বর্তমান সময়ে ছেলে-মেয়ে সবার একটি সাধারণ সমস্যা হচ্ছে মাথার চুল পড়ে যাওয়া। বিভিন্ন কারণে মাথার চুল ঝরে যেতে পারে। তাই চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আমাদের অনেক সমস্যায় পড়তে হয়।
স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়লে চিন্তার বিষয় হয় তো আজকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব মাথার চুল পড়ে যাওয়ার কারণ এবং এর প্রতিকার সম্পর্কে।
চুল পড়ার কয়েকটি কারণ
চুল পড়া সমস্যার সমাধানে বিভিন্ন ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি ব্যবহার করার আগে প্রথমে আমাদের জানতে হবে এই সমস্যার কারণ কি এবং এটার সঠিক কারণ জানার মাধ্যমে আমরা চুল পড়া বন্ধ করতে পারি।
তাই বর্তমান প্রেক্ষাপটে আপনাদের সাথে চুল পড়া বন্ধ করার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য কারণ সম্পর্কে আলোচনা করব।
- মাথায় অতিরিক্ত খুশকি জনিত কারণে চুল পড়ে যায়।
- অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা এবং মানসিক অবসাদের কারণে মাথার চুল পড়ে যেতে পারে।
- বিভিন্ন ওষুধের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমাদের মাথার চুল পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়
- বাজারে অনেক শ্যাম্পু পাওয়া যায় যেগুলো পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া হিসেবে চুল পড়তে পারে।
- ক্যান্সার চিকিৎসা কেমন চালাবে দেওয়ার পর অনেকের চুল পড়ে যায়।
- আমাদের মাঝে অনেকেই আছে যারা চুলের সৌন্দর্য এবং স্টাইল করার জন্য কৃত্রিমভাবে ব্যবহৃত রং এবং কেমিক্যাল পদার্থ ব্যবহারের কারণে মাথার চুল পড়ে যায়।
- হরমোন জনিত কারণে অনেকের চুল পড়ে যেতে পারে তবে এই ক্ষেত্রে আপনার শরীরের রক্ত পরিষ্কার মাধ্যমে বিভিন্ন হরমোন টেস্ট করার মাধ্যমে নিশ্চিত হতে পারেন।
- বংশগত কারণে অনেকের অল্প বয়সে চুল পড়ে যেতে পারে দেখা যায় অনেকের পূর্বপুরুষরা এ ধরনের সমস্যায় ছিলেন।
- বয়সের বার দুঃখ জনিত কারণে চুল পড়লে এক্ষেত্রে তেমন কিছু করণীয় থাকে না।
চুল পড়া বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
চুল পড়ার সঠিক কারণ জানার পরে আমরা এটা সমাধানের চেষ্টা করব। এক্ষেত্রে আমরা প্রাথমিকভাবে ঘরোয়া কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করবো যেগুলোর মাধ্যমে সহজে চুল পড়া বন্ধ করা যায়।
১। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে এবং নির্দিষ্ট সময়ে দৈনিক সাত থেকে আট ঘন্টা ঘুমাতে হবে।
২। রাতে ঘুমানো যাওয়ার পূর্বে ভালো মানের পরীক্ষিত নারকেল তেল দিয়ে চুল মেসেজ করে নিবেন এবং সকালবেলা শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলবেন। এভাবে নিয়মিত নারিকেল তেল ব্যবহারের মাধ্যমে চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব।
৩। চুল পড়া বন্ধ করতে এলোভেরা খুব কার্যকরী একটি উপাদান এক্ষেত্রে আপনি বাজার থেকে এলোভেরা জেল কিনে মাথায় ব্যবহার করতে পারেন অথবা বাড়িতে এলোভেরার জেল তৈরি করে এক ঘণ্টা মাথায় লাগিয়ে রাখতে পারেন।
৪। প্রাকৃতিকভাবে পড়া বন্ধ করা একটি অন্যতম উপায় হচ্ছে অলিভ অয়েল ব্যবহার করা। এই অলিভ অয়েলের উপকারিতা অনেক। আপনি নিয়মিত মাথায় নির্দিষ্ট পরিমাণে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
৫। এছাড়া ডিমের কুসুমের সাথে হালকা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে সেটা মাথার চুলে লাগানোর মাধ্যমে চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব। এই ধরনের পদ্ধতি সাপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করা উচিত।
আরো পড়তে পারেন :
Worst Charities to Donate to UK
চুল পড়া বন্ধ করার ঔষধ
চুল পড়া বন্ধ করার জন্য প্রাকৃতিক পদ্ধতি এবং ঘরোয়া চিকিৎসার মাধ্যমে যদি সহজে সমাধান না হয় সেক্ষেত্রে আমরা ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারি এবং এই চুল পড়া বন্ধ করতে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ পাওয়া যায়।
যেগুলো সর্বশেষ পর্যায়ে ব্যবহার করার জন্য ডাক্তার পরামর্শ দিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে অবশ্যই একজন বিউটিশিয়ান অথবা যারা হেয়ার স্পেশালিস্ট তাদের সাথে কথা বলে আপনি এই ওষুধগুলো সেবন করতে পারেন।
সে ক্ষেত্রে এই ধরনের ওষুধ ব্যবহারের কিছু পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে। হরমোন জনিত কারণ অথবা ইন্টারনাল কোন সমস্যার কারণে চুল পড়া শুরু হলে সে ক্ষেত্রে সঠিক ঔষধ প্রয়োগ করে চুল পড়া বন্ধ করা যায়।
চুল পড়া বন্ধ করার ভিটামিন ই ক্যাপসুল
আমরা অনেকেই জানি ভিটামিন এই জন্যই তো সমস্যার কারণে মাথার চুল পড়ে যায়। তবে সব ক্ষেত্রে এরকম ঘটনা ঘটে না। আপনার শরীরে ভিটামিন এই ঘাটতি আছে কিনা সেটা আপনাকে পরীক্ষা করে নিতে হবে।
বাজারে সহজে ভিটামিন এ ক্যাপসুল পাওয়া যায়। যদি আপনি নিশ্চিত হতে পারেন ভিটামিন ই ঘাটতি জনিত কারণে আপনার চুল পড়তেছে সেক্ষেত্রে আপনি ভিটামিন ই ক্যাপশন খেতে পারেন।
চুল পড়া বন্ধ করার তেলের নাম
চুল পড়া বন্ধ করার জন্য আমরা কিছু তেল ব্যবহার করতে পারি। দৈনন্দিন জীবনে আমরা চুল স্বাভাবিক থাকলে অথবা অস্বাভাবিক যেভাবেই থাকুক না কেন মাথায় নিয়মিত তেল ব্যবহার করাটা সাধারণ বিষয়।
তবে কোনো কারণে স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি চুল পড়লে আমাদেরকে তেল ব্যবহারের ক্ষেত্রে একটু সতর্ক হতে হবে।
যে সকল তেল চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে এগুলো নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে।
তার মধ্যে নারিকেল তেল অন্যতম আপনি চাইলে নিজস্বভাবে নারিকেল তৈরি করার মাধ্যমে সেটা মাথায় ব্যবহার করতে পারেন অথবা নির্ভরশীল কোনো কোম্পানির নারিকেল তেল ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন।
পাশাপাশি অলিভ অয়েল ব্যবহার করার মাধ্যমেও মাথার চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব। অনেকেই আছে এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল ব্যবহার করেন। এই তেলের দাম তুলনামূলকভাবে অনেক বেশি।
এক্সট্রা ভার্জিন অলিভ অয়েল উচ্চ তাপমাত্রা বিহীন ভাবে তৈরি করা হয় বলে এটার গুনাগুন বেশি।
চুল পড়া বন্ধ করার তেল
বাজারে বিভিন্ন ধরনের তেল পাওয়া যায় তার মধ্যে মাথার চুল বড় বন্ধ করার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য কিছুতে আর পাওয়া যায় তার মধ্যে প্যারাসুট নারিকেল তেল ,জুঁই নারিকেল তেল , গন্ধরাজ নারিকেল তেল ইত্যাদি।
এসকল ব্যবহার করতে পারেন পাশাপাশি স্পেনের তৈরি এক্সট্রা ভার্জিন কোকোনাট অয়েল ব্যবহার করার মাধ্যমে মাথার চুল পড়া বন্ধ করা সম্ভব।