গনোরিয়া রোগের লক্ষণ | গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়
আজকের পোস্ট এ আমি আপনাদের সাথে গনোরিয়া রোগের লক্ষণ এই বিষয় টি নিয়ে কথা বলবো। আরও বলার চেষ্টা করেছি গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। তো হ্যালো প্রিয় বন্ধুরা, আশা করি আপনারা সকলেই অনেক ভালো আছেন। আপনাদের কে আমাদের এই সাইটে আমার পক্ষ থেকে জানাই স্বাগতম। তো চলুন দেরি না করে পোস্ট টি শুরু করে দেওয়া যাক।
আমরা আরও কথা বলবো গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। এসব কিছু বিস্তারিত জানতে অবশ্যই আমাদের এই পোস্ট টি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে দেখবেন।
গনোরিয়া রোগ কি
গনোরিয়া রোগ টি “নাইসেরিয়া গনোরিয়া” নামক এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া এর কারণে হয়ে থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তি এর সঙ্গে মেলামেশার ২ থেকে ১৪ দিন পরই এই রোগের লক্ষণ গুলো দেখা যায়। গনোরিয়ার জীবাণু “নাইসেরিয়া গনোরিয়া” দীর্ঘ দিন শরীর এর বাইরে টিকে থাকতে পারে না।
এরা শুধুমাত্র নিবিড় যৌন মিলন এর মাধ্যম এ এক দেহ থেকে অন্য কোনো দেহে স্থানান্তরিত হয়ে বেচে থাকে। এখন আশা করি বুঝতে পেরেছেন গনোরিয়া রোগ কি এখন আমরা কথা বলবো গনোরিয়া রোগের লক্ষণ সম্পর্কে।
আজকের আমাদের এই পোস্ট এর মূল আলোচনার বিষয় ই হলো গনোরিয়া রোগের লক্ষণ নিয়ে। এই সম্পর্কে আপনার বিস্তারিত বলার চেষ্টা করবো।
গনোরিয়া রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা
পুরুষ এর যৌনাঙ্গ দিয়ে পুঁজ বের হওয়া বা প্রস্রাব এর সময় জ্বালাপোড়া হওয়া এ রোগ টি এর উপসর্গ। মূলত এটি এক প্রকার ব্যাকটেরিয়া ঘটিত জীবাণু বাহিত রোগ। এটি সারভিক্স, পুরুষাঙ্গ বা জরায়ুর ছিদ্র, রেকটাম মলাশয় কিংবা পায়ু, গলা এবং চোখকে আক্রান্ত করতে পারে।
আপনি যদি এই পোস্ট টি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে দেখেন তাহলে এই গনোরিয়া রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা বিষয়ে আপনার আর কোনো ভুল ধারনা থাকবে না। আশাকরি এখন কিছুটা বুজতে পেরেছেন এই গনোরিয়া রোগের লক্ষণ সম্পর্কে। আরও কিছু জানার অথবা বুজতে সমস্যা হলে আমাদের কে জানাবেন।
মূলত নারীদের থেকে পুরুষেরাই এই যৌন রোগটিতে বেশি আক্রান্ত হয়ে থাকে। নিচে এই গনোরিয়া রোগের লক্ষণ দেওয়া হলো।
পুরুষদের ক্ষেত্রে
১. মূত্র ত্যাগ এর সময়ে জ্বালা এবং ব্যথা অনুভুত হয়।
২. বার বার প্রস্রাব এ যেতে হয়।
৩. যৌনাঙ্গ এর থেকে হলুদ কিংবা সবুজ পুজ বের হয়।
৪. পুরুষাঙ্গ লালচে বর্ণ ধারণ করে আর ফুলে যায়।
৫. অণ্ডকোষে ব্যাথা অনুভব হয়।
৬. গলায় সব সময়ই ব্যাথা থাকে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে
১. মূত্রত্যাগ এর সময় ব্যথা এবং জ্বালা হয়।
২. বার বার প্রস্রাব এ যেতে হয়।
৩. পিরিয়ড এর সময় অতিরিক্ত রক্তপাত হয়।
৪. যৌনি থেকে হলুদ অথবা সবুজ পুঁজ বের হয়।
৫. যৌন সঙ্গমের সময় অতিরিক্ত ব্যাথা হয়।
৬. গলায় সর্বদা ব্যাথা হয়।
৭. তল পেটে তীব্র ব্যাথা হয়।
আরো পড়ুনঃ গ্যাস্ট্রিক কমানোর উপায়
গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায়
মূলত পেনিসিলিন ব্যবহার এ এই সংক্রমণ টি সেরে যায়। পেনিসিলিন রেজিস্টেন্ট ব্যক্তি কে সেনসিটিভ ওষুধে চিকিৎসা দেয়া যেতে পারে। জটিলতা হীন গনোরিয়া এর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত একক মাত্রায় উপযুক্ত জীবাণু বিরোধী অথবা অ্যান্ট্রিমাইক্রোবিয়াল ঔষুধ বেশ ভালো কাজ দেয়। এছাড়া অবস্থা জটিল হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে কাজ করাই উত্তম।
আশা করি এখন বুজতে পেরেছেন এই গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে। এই বিয়য়ে আমরা বিস্তারিত বলার চেষ্টা করেছি। আপনারা যদি এই গনোরিয়া রোগ থেকে মুক্তির উপায় সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে চান তাহলে অবশ্যই আমাদের কমেন্টে জানাবেন।
গনেরিয়া রোগ হলে আগে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে কয়েকটি বিষয় এড়িয়ে চললে এই রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। নিচে তা দেওয়া হলো।
১. সুরক্ষিত নয় এমন যৌন সঙ্গম কে এড়িয়ে চলুন।
২. কোনও রকমের সমস্যা হলে নিজের সঙ্গীকে জানান।
৩. কোনো সন্দেহ থাকলে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।
শেষ কথা
তো প্রিয় বন্ধুরা আজকের এই পোস্ট এ আপনারা জানলেন, গনোরিয়া রোগের লক্ষণ সম্পর্কে। আশা করছি এই পোস্ট টি আপনাদের কাছে অনেক টা ভালো লেগেছে। এই গনোরিয়া রোগের ঘরোয়া চিকিৎসা ও রয়েছে আপনারা চাইলে এই সম্পর্কে বিস্তারিত পোস্ট করার চেষ্টা করবো।
ভালো লেগে থাকলে কিন্তু অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন আমাদের। আর এরকম সব পোস্ট পেতে প্রতিদিন ভিজিট করতে থাকুন আমাদের এই ওয়েব সাইট টি তে। আবার দেখা হবে পরবর্তী কোনো পোস্ট এ। সে পর্যন্ত সকলে ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন। আল্লাহ হাফেয।